সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : প্রতিবছর বর্ষায় উত্তরে বিপর্যয়। প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভুটান থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৭৬টি নদী ডুয়ার্সে প্রবাহিত হয়। ভারত-ভুটান নদী কমিশন গঠন করলে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারত। কেন্দ্রকে বারবার এ বিষয়ে আবেদনের পরও কোনও ফল হয়নি। ইন্দো-নেপাল, ইন্দো- বাংলাদেশ নদী কমিশন রয়েছে, সেখানে ভারত-ভুটান কেন করা হবে না? বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের সিসামারা নদীর বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে এভাবেই কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এ বছর বর্ষা একটু আগেই শুরু হয়েছে ডুয়ার্স জুড়ে। আর বর্ষার শুরুতেই ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করছে ডুয়ার্সের নদীগুলো।
আরও পড়ুন-৯ জুন শুরু বিধানসভার অধিবেশন, অপারেশন সিঁদুর, সেনাকে ধন্যবাদ জানাতে প্রস্তাব
প্রতি বছরই ডুয়ার্সের কোনও না কোনও নদীতে বন্যা হয়। তাই এ-বছর বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি ও জেলার নদীবাঁধগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখতে আলিপুরদুয়ার জেলা সফর করলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। বুধবার রাতে আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউসে পৌঁছান মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে সার্কিট হাউসে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মানস ভুঁইয়া। তারপর চলে যান বাঁধ পরিদর্শনে। ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন গঠন ও ব্রহ্মপুত্র বোর্ডে পশ্চিমবঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত না করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ভারত-ভুটান নদী কমিশন গঠন নিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী দশবার কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন গঠন নিয়ে তদ্বির করেছেন। কিন্তু আজও সেটি গঠিত হল না। তবে তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আলিপুরদুয়ার এসেছেন সবাইকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা দিতে যে সরকার আলিপুরদুয়ারের মানুষের পাশে আছে। এখানকার মানুষদের বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে যা যা করা দরকার সরকার তাই করবে। সিসামারা নদীর পাশের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দেন দফতরের আধিকারিকদের।