জিআরপিএফ-আরপিএফ যোগেই চালান? রেলের কামরায় কাঠ-মাদক পাচার!

বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এই বিশাল পরিমাণ জিনিস ধরা পড়ায় হইচই শুরু হয়েছে রেলের অন্দরে এবং অন্যান্য মহলেও

Must read

প্রতিবেদন : সর্ষের মধ্যে ভূত ছাড়া এ-জিনিস অসম্ভব। তাও আবার রেলে! রেলের অভ্যন্তরীণ ছানবিন-নজরদারি যে কোন তলানিতে থেকেছে তা ফের প্রমাণ করল বিশাল চোরাচালান ধরা পড়ায়। মালগাড়ির ছটি বগিতে পাচার হচ্ছিল বার্মাটিক কাঠ এবং মাদক। বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এই বিশাল পরিমাণ জিনিস ধরা পড়ায় হইচই শুরু হয়েছে রেলের অন্দরে এবং অন্যান্য মহলেও। সকলে বিস্ময়ে হতবাক।
ভারতীয় রেলে কাঠ ও মাদক পাচার! সেগুলি উদ্ধার করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। মাদক বলে যা আটক করা হয়েছে তা আসলে কী তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলের কর্মীদের যোগসাজশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের সাহয্য ছাড়া এই বিশাল পরিমাণ জিনিস চোরাচালান হওয়া কি সম্ভব? সকলেই একমত নিজেদের অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া ছাড়া এ অসম্ভব।

আরও পড়ুন-বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সেচমন্ত্রী মানস, কেন্দ্রের উদাসীনতায় উত্তরের দুর্ভোগ

এদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের দু নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসা একটি মালগাড়ির ৬টি বগি থেকে সব ধরা পড়ে। জানা গিয়েছে অসম থেকে ওই মালগাড়িটি আসছিল। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই মালগাড়িটি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছতেই অভিযান চালায় নিউ জলপাইগুড়ি জিআরপি এবং আরপিএফ।
একের পর এক মালগাড়ির ওয়াগন খুলে তল্লাশি চালাতেই চক্ষুচড়কগাছ আরপিএফ এবং জিআরপির। প্রতিটি মালগাড়ির কোচেই প্রায় দুটি-তিনটি করে বার্মাটিক কাঠের লগ রাখা ছিল।
অসম থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল এই মালগাড়িটি।
ভারতীয় রেলের কোচে কী করে চোরাই কাঠ উঠল, তা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। ভারতীয় রেলের কর্মীদের নজর এড়িয়ে মালগাড়ির কোচে এত পরিমাণ কাঠ উঠল কী করে তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি অসম থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত জিআরপি এবং আরপিএফের নেটওয়ার্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Latest article