বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশে বেতন কেলেঙ্কারি, ২৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি

৫০ হাজার ভুয়ো সরকারি কর্মীর হদিশ

Must read

বিজেপি রাজ্যে বেতন কেলেঙ্কারি! ২৩০ কোটি টাকার বিশাল দুর্নীতির পর্দাফাঁস হয়ে গেল বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশে। হদিশ মিলল ৫০ হাজার ভুতুড়ে সরকারি কর্মচারীর। ৫০ হাজার ভুতুড়ে সরকারি কর্মচারীর নামে ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে ওই বিজেপি রাজ্যে। এই বিশাল অংকের বেতন কেলেঙ্কারি ঘটনায় প্রশ্ন তুলে তৃণমূল জানিয়েছে, কেন এর বেলায় সিবিআই তদন্ত হবে না? প্রধানমন্ত্রী মোদিবাবু ও মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদববাবু এই কোটি কোটি টাকার হিসাব কে দেবে? আপনারা চুপ কেন?

বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশে সাংঘাতিক এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের আরও প্রশ্ন, ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী ৬ মাস ধরে বেতন পাননি। তাঁরা কি ছুটিতে? না বরখাস্ত? নাকি এটি শুধুই বিশাল এক জালিয়াতি, যাতে করদাতাদের টাকা লুটপাট করা হয়েছে? এর জবাব আপনাদেরকেই দিতে হবে।
৫০ হাজার ভুয়ো সরকারি কর্মচারী দেখিয়ে ২৩০ কোটি টাকার বেতন কেলেঙ্কারি ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনা বিজেপি-রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতা নিয়ে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সরকারি বিভাগে কর্মচারীদের বেতন বিতরণের অডিটে নজরে আসে, প্রায় ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারীর বেতন ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে দেওয়া হয়নি। তাহলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গেল। প্রায় ২৩০ কোটি টাকা। এই ঘটনা শুধু মধ্যপ্রদেশ কেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন কেলেঙ্কারিগুলির মধ্যে অন্যতম। সকলের অগোচরে এতদিন রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছে শাসকদল বিজেপি।

আরও পড়ুন: দলীয় সাংসদ মহুয়াকে বিয়ের শুভেচ্ছা অভিষেকের

সাম্প্রতিক অডিট রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে, বেতন তালিকায় অসংখ্য সরকারি কর্মচারী নাম রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তাঁদের কোনও অস্তিত্ব নেই অথবা তারা সরকারি পরিষেবা থেকে অবসর নিয়েছেন বা প্রয়াত হয়েছেন। খাতায়-কলমে তবুও তাঁরা বেতনভোগী। গত ২৩ মে কমিশনার অফ ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বা সিটিএ সকল ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসারদের এই মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে জানানো হয়, আইএফএমআইএসের আওতাধীন নিয়মিত ও অনিয়মিত কর্মচারীদের বেতন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে তোলা হয়নি। তাঁদের কর্মচারী কোড রয়েছে, কিন্তু যাচাইকরণ অসম্পূর্ণ। এই সাংঘাতিক কেলেঙ্কারিতে ৬ হাজারের বেশি ডিডিও-কে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। তাঁদের ১৫ দিনের মধ্যে সম্ভাব্য ২৩০ কোটি টাকার জালিয়াতির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, প্রায় ৫০ হাজার ভুয়ো কর্মচারী এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এই সকল কর্মচারীদের নামে প্রতি মাসে বেতন বাবদ প্রায়
২৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা যেত, কিন্তু তা দুর্নীতিবাজ বিজেপির মদতপুষ্ট মন্ত্রী-আমলাদের পকেটে! এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দুর্নীতির হাত কতখানি বিস্তৃত। মন্ত্রী-আমলাসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মীদের যোগসাজশ ছাড়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ অসম্ভব।
মধ্যপ্রদেশ সরকার শুধু তদন্তের নির্দেশ দিয়েই ক্ষান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই কেলেঙ্কারিতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

Latest article