সমালোচনা বা অসমর্থন করলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) যে কারও হাত ছাড়তে পারেন বা বিরোধিতা করতে পারেন, তা স্পষ্ট হয়েছিল ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরেই। সমালোচনার জেরে এবার প্রিয় বন্ধু মাস্কেরই হাত ছাড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেগতিক দেখে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিলেন এলন মাস্ক। কার্যত তাতেই শেয়ারবাজারের বিশাল ধাক্কা সামলে উঠতে চলেছে টেসলা। তবে সেসব দিকে নজর নেই ট্রাম্পের। দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবার চিনমুখী। দেখা করবেন শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও, জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা এবং যথেচ্ছ ব্যয়ের প্রতিবাদ করে রোশের মুখে অনেক দিনই পড়েছিলেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক। প্রথমে ট্রাম্পের দায়িত্ব দেওয়া ডোজ বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেন মাস্ক। ৭ দিনের মধ্যে তার সংস্থা স্পেস এক্স এর সঙ্গে সব চুক্তি নাকচ করলেন ট্রাম্প। যার জেরে শেয়ারবাজারে বিরাট ধাক্কা এলন মাস্কের। বাজারে ১৪ শতাংশ কমে গিয়ে টেসলার ক্ষতি দাঁড়ায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশে বেতন কেলেঙ্কারি, ২৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি
তবে একদা প্রিয় বন্ধু মাস্কের লোকসানে বিন্দুমাত্র নজর নেই ট্রাম্পের। তিনি লক্ষ্য স্থির রেখে যোগাযোগ বাড়িয়ে চলেন চিনের সঙ্গে। শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেড় ঘন্টা কথা হয় ট্রাম্পের। যে ফোনালাপের পরে ট্রাম্প দাবি করেন পৃথিবীতে বিরল সম্পদ পেতে আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। মূলত বাণিজ্য নিয়ে কথা হয় দুই দেশ নেতার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প জানান তাঁকে সস্ত্রীক চিনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জিনপিং। শীঘ্রই দু’দেশের প্রতিনিধি দলের আলোচনা হবে।
চিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের পারদ গলতেই বিপদের আভাস বোঝেন এলন মাস্ক। রাতারাতি শান্তির কথা মাস্কের মুখে। তাঁদের দুজনের যে বিবাদ সামনে এসেছে, তা মিটিয়ে ফেলার বার্তা দেন মাস্ক। এর পরেই হোয়াইট হাউস থেকে মাস্কের সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত করা হয়েছে।
ট্রাম্প-মাস্ক বিবাদ মেটার ইঙ্গিত হোয়াইট হাউস থেকে পেতেই সুখবর টেসলা পরিবারে। মাস্ক নিজের সুর নরম করতেই প্রভাব পড়ল শেয়ার বাজারে। শুক্রবার বাজার খোলার আগেই আভাস টেসলার বাজার দর ৪ থেকে ৫ শতাংশ ফের ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে। তবে তা সরাসরি মাস্কের সুর নরম করার প্রভাবে, না চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য সম্পর্ক নতুনভাবে তৈরি হওয়ার জন্য, তা নিয়ে নিশ্চিত নন অর্থনীতিবিদরা।