সংবাদদাতা, দিঘা : একদিকে শনি-রবির ছুটি অন্যদিকে ইদ। আর এই দুইয়ে মিলে পর্যটকদের রেকর্ড ভিড়ে উপচে পড়ল দিঘার সৈকত। শনিবার সকাল থেকে তিলধারণের জায়গা নেই নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘার ঘাটগুলিতে। সমুদ্রস্নান থেকে শুরু করে ঘোরাফেরায় মেতে উঠলেন পর্যটকেরা। রাস্তায় যানজট এড়াতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। অতিরিক্ত ভিড়ে হোটেলগুলিও পরিপূর্ণ। বেশ কিছু হোটেল বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ ইতিমধ্যে জমা পড়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে। উল্লেখ্য, এপ্রিলে জগন্নাথধাম উদ্বোধনের পর থেকেই দিঘা ভিড়ে জমজমাট। মন্দির দেখতে রাজ্য তথা রাজ্যের বাইরে মিলিয়ে মে মাসেই প্রায় ৩০ লক্ষ পর্যটকের সমাগম হয় সৈকত শহরে। শনিবার সকাল থেকে ভিড়ের চাপে বাস এবং বড় গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দিঘা বাইপাস মোড় থেকে প্রবেশ করানো হয়।
আরও পড়ুন-উদ্ধার করেনি প্রশাসন, ক্ষোভ সিকিমের গাড়ির চালকদের
অটো-টোটোগুলিকেও বেশ কিছু জায়গায় আটকে দেওয়া হয়। যেহেতু বর্তমানে জগন্নাথধামের সামনে এখন চৈতন্যদ্বার নির্মাণের কাজ চলছে তাই পিছনের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে ছোট গাড়িগুলিকে। শনিবার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কার্যত হিমশিম খেয়ে যান পুলিশকর্মীরা। অতিরিক্ত ভিড়ে যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে পুলিশের নিরাপত্তাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ইদ উপলক্ষে শনি এবং রবিবার দিঘায় অবস্থিত প্রায় দেড় হাজার হোটেল সম্পূর্ণ বুকিং হয়ে রয়েছে। একাধিক হোটেলে ট্যুর প্যাকেজও চালু করেছে। সেই প্যাকেজের মধ্যে আছে জগন্নাথধামও। গাড়িতে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানো হচ্ছে নতুন এই তীর্থক্ষেত্র। তবে ভিড়ে অগ্রিম বুকিং অস্বীকার করে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একাধিক হোটেলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘প্রশাসন এই সমস্ত বিষয়ে সতর্ক। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ বিষয়ে। হোটেল সংগঠনগুলিকে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে।’ দিঘার পাশাপাশি মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর, উদয়পুরেও এদিন ছিল প্রচুর ভিড়। বিপুল পর্যটক সমাগমে চওড়া হাসি দেখা গিয়েছে হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ী মহলে।