শনিবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক সরকারি হাসপাতালে ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল গোটা হাসপাতাল চত্বর। মৃত সদ্যোজাতকে মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর! ঘটনা দেখে হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষী কোনও মতে কুকুরটিকে তাড়িয়ে সদ্যোজাতের দেহটি উদ্ধার করেন। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতাল চত্বরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন-ন্যাড়া কুৎসাকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হল মানহানির মামলা
শনিবার দুপুরে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার একটি সরকারি হাসপাতালের শৌচাগারের কাছে একটি রাস্তার কুকুরকে এক সদ্যোজাতের মৃতদেহ মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। একজন নিরাপত্তারক্ষী কুকুরটিকে তাড়িয়ে শিশুর দেহ কোনমতে উদ্ধার করেন। এরপরেই ওই শিশুর মায়ের খোঁজ শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শিশুটি কার, কীভাবে সে হাসপাতালে এল সেই সংক্রান্ত বিষয়গুলি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-অনবদ্য দুটি সাহিত্য পত্রিকা
হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে ২টোর মধ্যে এক কিশোরী ওই শৌচাগারে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের নথি অনুযায়ী সেই মেয়েটি পেটে ব্যথা নিয়ে রাত ৯টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হন। মনে করা হচ্ছে ১৭ বছরের ওই কিশোরী হাসপাতালের শৌচাগারে সন্তান প্রসব করে। তারপর সেখানেই সদ্যোজাতকে ফেলে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হচ্ছে ওই কিশোরী গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। সম্ভবত ওই কিশোরী সময়ের আগেই অপরিণত, মৃত সন্তান প্রসব করেছিলেন। তাই মৃত সদ্যোজাতকে সেখানেই ফেলে পালিয়ে যান। শনিবার দুপুরে শিশুর দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছিল শিশুটি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে সম্পূর্ণ বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ওই কিশোরীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে কিছুই এল না? একজন কিশোরী শৌচাগারে প্রসব করছেন আর সেই সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই হাসপাতালের?