সৌম্য সিংহ : গ্রাম্যজীবন থেকে নগরজীবনে উত্তরণের যেন এক অসাধারণ দলিল। প্রতিটি পদক্ষেপে প্রগতির সুস্পষ্ট প্রমাণ ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডে। ভাবলে অবাক লাগে এক দশক আগেও এটি ছিল পঞ্চায়েত এলাকা। কলকাতা মহানগরী লাগোয়া একটুকরো গ্রাম বাংলা। মাটির রাস্তা, কুঁড়েঘর, খানাডোবা—সবকিছুরই দেখা মিলত এখানে। দীর্ঘ বাম জমানায় বঞ্চনা এবং অবহেলার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে দিন কাটাতেন স্থানীয় মানুষজন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই পরিস্থিতিটা বদলাতে শুরু করে দ্রুত। ২০১২-র ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয় জোকা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডের মর্যাদা পায় এই এলাকা। ২০১৫-র পুরনির্বাচনে প্রায় ১০,০০০ ভোটে জয়লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রঘুনাথ পাত্র। প্রথম নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে পা রাখেন পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে। এরপরেই গতি পায় এলাকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। শুরু হয় অতীতের গ্রাম্য পরিবেশ এবং নিকট ভবিষ্যতের শহুরে জীবনের মাঝে সেতুবন্ধনের বিরামহীন উদ্যোগ। আজ এলাকাবাসীর বলতে দ্বিধা নেই, নগরায়নের প্রয়াসে পুরোপুরি সফল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কলকাতা পুরসভা এবং পুরপ্রতিনিধি রঘুনাথ পাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘ এবারে আমার লক্ষ্য ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল হিসেবে তুলে ধরা।’’ মিশন মোড় থেকে কবরডাঙা হয়ে জোকা— মাটির রাস্তা পোক্ত হয়েছে কংক্রিটে। বদলে গিয়েছে পিচের রাস্তায়। পাড়ায় পাড়ায় জল পৌঁছে দিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। নিয়মিত সংস্কার করা হয় এলাকার ৮টি খাল। গোপালনগর, মাগুরখালি, রামজীবনপুরে পা রাখলেই চোখে পড়বে গ্রাম এবং নগরজীবনের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। এক অপূর্ব পরিবেশ। নগরায়নকে ত্বরান্বিত করতে তাই তৃণমূল কংগ্রেসের বাইরে আর কিছু ভাবতেই পারছেন না ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
পুরভোটের ময়দানে পুরনো প্লেয়ার। টানা চার-চারবার জিতে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে ওয়ার্ড বদলে ১৫-তে। সেখানেও অপরাজেয়। এবারেও ১৫ নম্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী। নিজের জয় নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত। তবে ভাল ছাত্রীর মতো মুখে অবশ্য সতর্ক, ‘‘পরীক্ষা যখন দিয়েছি, তখন ভাল রেজাল্টের আশাই করছি।’’ বলছিলেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শুক্লা ভোঁড়। পুরনো প্রার্থী। ওয়ার্ডের খুঁটিনাটি সবই জানা। নিয়মিত জনসংযোগ। ফলে প্রায় সবাই চেনা। প্রচারে জোর দিয়েছেন মূলত ‘ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন’-এ। সে কাজও প্রায় শেষ। পুর প্রতিনিধি হিসেবে সারা বছর মানুষের পাশে থাকা, সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেওয়া এসব তো আছেই। কার্যত এবার বিরোধীশূন্য এই ওয়ার্ড। মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে খান্না পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। শহরের সবচেয়ে বড় ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজারের কাছাকাছি। গতবার তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ছিল চার হাজারেরও বেশি। ‘‘ছেলেরা তো বলছে, এবার মার্জিন আরও বাড়বে।’’ বলছিলেন আত্মবিশ্বাসী শুক্লা। মঙ্গলবার সকালটা কাটিয়েছেন নিজের ওয়ার্ড অফিসে। প্রচারের ব্যস্ততায় ক’দিন বসা হয়নি সেখানে। সেখানে কাটিয়ে দুপুরে একটু বাড়িতে একটু বিশ্রাম। তারপর বিকেল থেকে ফের প্রচার। শহরের সবচেয়ে বড় ওয়ার্ড থেকে ফের জিতে ষষ্ঠবার কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হওয়ার দৌড়ে ওয়ার্ড জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। বলছিলেন, ওয়ার্ডের কয়েকটি জায়গায় সামান্য পানীয় জলের সমস্যা আছে। জেতার পর দীনেন্দ্র স্ট্রিটে একটি জলপ্রকল্প গড়ার ভাবনা আছে প্রার্থীর। সেটা হলে সমস্যাটা পুরোটাই মিটবে বলে দাবি শুক্লার। ওয়ার্ডে মহিলা শৌচাগার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বলছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যজুড়ে অনেক জনমুখী প্রকল্প নিয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্যভাতার মতো পরিষেবাগুলো সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর ফলে অনেক মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।” নিশ্চিত জয়ের পথে এগোচ্ছেন শুক্লা।
আরও পড়ুন : বাম জমানার দায়ভার তবুও অগ্রগতি দুর্নিবার
পুরভোটের ময়দানে পুরনো প্লেয়ার। টানা চার-চারবার জিতে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে ওয়ার্ড বদলে ১৫-তে। সেখানেও অপরাজেয়। এবারেও ১৫ নম্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী। নিজের জয় নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত। তবে ভাল ছাত্রীর মতো মুখে অবশ্য সতর্ক, ‘‘পরীক্ষা যখন দিয়েছি, তখন ভাল রেজাল্টের আশাই করছি।’’ বলছিলেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শুক্লা ভোঁড়। পুরনো প্রার্থী। ওয়ার্ডের খুঁটিনাটি সবই জানা। নিয়মিত জনসংযোগ। ফলে প্রায় সবাই চেনা। প্রচারে জোর দিয়েছেন মূলত ‘ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন’-এ। সে কাজও প্রায় শেষ। পুর প্রতিনিধি হিসেবে সারা বছর মানুষের পাশে থাকা, সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেওয়া এসব তো আছেই। কার্যত এবার বিরোধীশূন্য এই ওয়ার্ড। মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে খান্না পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। শহরের সবচেয়ে বড় ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজারের কাছাকাছি। গতবার তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ছিল চার হাজারেরও বেশি। ‘‘ছেলেরা তো বলছে, এবার মার্জিন আরও বাড়বে।’’ বলছিলেন আত্মবিশ্বাসী শুক্লা। মঙ্গলবার সকালটা কাটিয়েছেন নিজের ওয়ার্ড অফিসে। প্রচারের ব্যস্ততায় ক’দিন বসা হয়নি সেখানে। সেখানে কাটিয়ে দুপুরে একটু বাড়িতে একটু বিশ্রাম। তারপর বিকেল থেকে ফের প্রচার। শহরের সবচেয়ে বড় ওয়ার্ড থেকে ফের জিতে ষষ্ঠবার কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হওয়ার দৌড়ে ওয়ার্ড জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। বলছিলেন, ওয়ার্ডের কয়েকটি জায়গায় সামান্য পানীয় জলের সমস্যা আছে। জেতার পর দীনেন্দ্র স্ট্রিটে একটি জলপ্রকল্প গড়ার ভাবনা আছে প্রার্থীর। সেটা হলে সমস্যাটা পুরোটাই মিটবে বলে দাবি শুক্লার। ওয়ার্ডে মহিলা শৌচাগার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বলছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যজুড়ে অনেক জনমুখী প্রকল্প নিয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্যভাতার মতো পরিষেবাগুলো সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর ফলে অনেক মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।” নিশ্চিত জয়ের পথে এগোচ্ছেন শুক্লা।