ওবিসি : কুৎসার জবাব

কিন্তু দলবদলু গদ্দার অধিকারী ও তার দল বিজেপি বিরোধিতার নামে মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে

Must read

প্রতিবেদন : বিরোধী দলের কাজ হল, সরকারের গঠনমূলক বিরোধিতা করা। কিন্তু দলবদলু গদ্দার অধিকারী ও তার দল বিজেপি বিরোধিতার নামে মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে ধর্মের নামে বিভাজনই বিজেপির আসল উদ্দেশ্য৷ ২০২৬–এ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও হিন্দু–মুসলিম লড়াই লাগিয়ে দেওয়ার কৌশল৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধর্ম দেখে নয়, সত্যিকারের বাস্তব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই ওবিসি তকমা ও তালিকা ঠিক করেছেন৷ এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক––ওবিসি ক্যাটেগরি ‘এ’ ও ‘বি’ মিলিয়ে ১৪০৷ যার মধ্যে মুসলিম ৮০, অ–মুসিলম ৬০৷ শতাংশের নিরিখে মুসলিম ৫৭.১৪%৷ এই তথ্য তুলে ধরে গদ্দারের মিথ্যার মুখোশ খুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷

আরও পড়ুন-জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গাছের ফল, ৫৬ ভোগে বিশেষ পুজো, কাল রথযাত্রা নিয়ে বৈঠক

বিধানসভার বাইরে হোক কিংবা ভিতরে, পরিস্থিতির কোনও হিসেবে হেরফের নেই। এবার রাজ্যের প্রকাশিত ওবিসি তালিকা নিয়েও কাঁচা মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে গদ্দার। মঙ্গলবার বিধানসভায় নয়া ওবিসি তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য। সমস্তরকম সার্ভে ও ভেরিফিকেশনের পর নয়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ৭৯টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত এবং ৬১টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত নয়। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে গদ্দারের দাবি করা পাটিগণিতের সংখ্যা যার পর নাই ভুলে ভরা। উল্লেখ্য, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের প্রকাশিত তালিকা শেয়ার করে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের দিকে টার্গেট করেছে গদ্দার। তার পাল্টা হিসেবে তথ্যপ্রমাণ সহকারে আসল বিষয়টি তুলে ধরেছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে গদ্দারকে ধুয়ে দিয়ে লিখেছেন, উনি ওবিসি মানে জানেন না। তাঁর জানা উচিত, ওবিসি মানে আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস। যারা আর্থিকভাবে সমাজে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি। সেই সঙ্গে গদ্দারের জানা উচিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণিই একমাত্র ওবিসি তকমা পাওয়া ক্ষেত্রে বিচার্য। অন্য কোনও বিষয় এক্ষেত্রে খাটে না। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই বিধানসভায় ওবিসি তালিকা নিয়ে যাবতীয় ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Latest article