প্রতিবেদন: আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad plane crash) অসংখ্য মানুষ অকালে হারালেন তাঁদের প্রিয়জনদের। নীল আকাশ চিরে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার আনন্দ-উল্লাসে যাঁরা বিমানের যাত্রী হয়েছিলেন কয়েক লহমায় ছাই হয়ে গেলেন তাঁরা। অপ্রত্যাশিত বাস্তবের এই দুর্ঘটনা অতীতে বন্দি হয়েছে একাধিক কালজয়ী সিনেমার কাহিনি ও অনুষঙ্গে। তার মধ্যে নজরকাড়া দুটির একটি বাংলায়, অন্যটি হিন্দিতে।
বিখ্যাত চৌরঙ্গী সিনেমার সেই বেদনাবিধুর উপসংহারটি মনে আছে তো? কর্মজীবনের শেষদিনটিতে আর ঘরে ফেরা হল না সুজাতা মিত্রর। ফিরে এসে স্যাটা ওরফে সত্যসুন্দর বোসকে বিয়ে করার কথা ছিল তাঁর। যাওয়ার আগে সুজাতা স্যাটাকে বলেছিলেন, জানো আজ আমার মনটা খুব খারাপ। আমার জীবনের শেষ ফ্লাইট আজ। আর কোনওদিনই কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ছুটে বেড়াতে হবে না এই এয়ারপোর্ট থেকে অন্য এয়ারপোর্টে। কাজের ইতি। ম্লান হেসে ভারাক্রান্ত মনে ছবির নায়ক স্যাটারূপী উত্তম কুমারকে কথাটা বলেছিলেন নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিক। সিনেমার সুজাতা। কিন্তু সেই ফ্লাইট যে শুধু বিমানসেবিকা সুজাতার পেশাগত জীবনের শেষ ফ্লাইট নয়, ইতি টানবে তাঁদের যৌথ যাপনের স্বপ্নেও, তা কল্পনা করতে পারেননি সত্যসুন্দর। শেষ ফ্লাইটে ওঠার আগে বন্ধু স্যাটাকে হাত নেড়েছিলেন সুজাতা। হাসিমুখে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে ওঠার একটু পরেই বেজে ওঠে সাইরেন। চোখের সামনে ভেঙে পড়ে সুজাতাদের বিমান। চৌরঙ্গী ছবির এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য কাহিনির শেষ মুহূর্তে এক অনন্য মোচড় এনে দেয়। আজও যা ভোলা যায় না। হিন্দি ছবি সিলসিলাতেও বিমান দুর্ঘটনার মর্মান্তিক কাহিনি দর্শকদের নাড়া দিয়েছে গভীরভাবে। দুটি বিমান দুর্ঘটনার অনুষঙ্গ রয়েছে এখানে। প্রথম দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ঝকঝকে বায়ুসেনা অফিসারের (শশী কাপুর অভিনীত)। আরেকটি বিমান দুর্ঘটনার অভিনেতা ছিলেন সঞ্জীব কুমার। সিনেমার দৃশ্যায়নে বিমানবন্দরে ভেঙে পড়া বিমানে দাউদাউ আগুন। আর পাগলের মতো প্রিয়জনদের খোঁজে অসহায় চিৎকার পরিজনদের। বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad plane crash) ফের মনে করিয়ে দিয়েছে রুপোলি পর্দার দুই কাহিনিকে।
আরও পড়ুন-ভারতে কবে কোথায় বড় বিমান দুর্ঘটনা