ইজরায়েল-ইরান সংঘাতে বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা

Must read

প্রতিবেদন : মধ্যপ্রাচ্যে ফের যুদ্ধের পরিস্থিতি! ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আকাশপথে হামলা চালাল ইজরায়েল। যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ড্রোন হামলাও চালানো হয়েছে রাজধানী তেহরান-সহ একের পর এক ইরানি শহরে। আর ইজরায়েলের হামলার পরই গোটা ইরানে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইরানের অসামরিক বিমান পরিষেবা। পড়শি দেশে ইজরায়েলের ড্রোন হামলার পরই ইরাক ও জর্ডন তাঁদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তিন দেশের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারছে না কোনও বিমান। যার জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমান পরিষেবা ব্যাহত। কারণ, ইরাক-ইরানের মধ্যবর্তী জায়গার ‘এয়ারস্পেস’ এশিয়া থেকে ইউরোপ কিংবা পশ্চিমি দেশগুলিতে বিমান যাতায়াতের সবচেয়ে ব্যস্ততম রুট। প্রতিমুহূর্তে এই রুট ধরে কয়েকশো বিমান এশিয়া থেকে ইউরোপ-আমেরিকার মধ্যে চলাচল করে। ভারত থেকেও পশ্চিমি দেশগুলিতে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এই রুট ব্যবহার হয়। এছাড়াও ইংল্যান্ড কিংবা উত্তর ইউরোপের কোনও দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভারত থেকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার বন্ধ করেছে ভারত। তার জেরে লন্ডন বা ইউরোপগামী বিমানগুলি ভারত থেকে বিকল্প রুটে গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে। একাধিক বিমানসংস্থার দাবি, এশিয়া থেকে ইউরোপের দিকে যাওয়া বিমানগুলি বিকল্প পথ হিসাবে মিশর এবং সৌদি আরব হয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। কিংবা অশান্ত পশ্চিম এশিয়ার আকাশসীমা এড়িয়ে তুরস্ক, আজারবাইজান এবং তুর্কমেনিস্তানের আকাশপথ হয়ে গন্তব্যে যেতে পারে। যদিও দুটি ক্ষেত্রেই উড়ানের সময় এবং বিমানের জ্বালানি খরচ বাড়বে। সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের তিনদেশের আকাশসীমা ও ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বিমান চলাচলে। বিশ্বের পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে বিমান চলাচল কার্যত গভীর অনিশ্চয়তার মুখে।

আরও পড়ুন- বিধানসভায় ঘোষণা শশী পাঁজার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে উপকৃত ২ কোটিরও বেশি

Latest article