মোদি গেলেও সদুত্তর নেই, জোরালো তদন্তের দাবি

Must read

প্রতিবেদন : ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯৭। গোটা দেশ বিস্ময়ে হতবাক।
এখনও অবিশ্বাস্য লাগছে সকলের। আমেদাবাদের হাসপাতাল এবং দুর্ঘটনাস্থল জুড়ে এখন শুধুই কান্না আর হাহাকার। এই আবহে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন দুর্ঘটনাস্থলে। গিয়েছিলেন হাসপাতালেও। এই দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। এখানেও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন ডিসিসিএ যতরকম এজেন্সি আছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সব এজেন্সির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কথা বলা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গেও। উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের ব্ল্যাকবক্স। ডেটা রেকর্ডার। চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত উত্তর মেলেনি কেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা? দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে সমস্ত কিছু উদ্ধার করা হলেও এখনও পর্যন্ত ধোঁয়া রয়েছে অনেক বিষয়ে। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদ গিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খুব ভাল কথা। যেতেই পারেন। কিন্তু এর আগে মণিপুর-সহ দেশে একাধিক ভয়াবহ সব দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে তখন কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে ঘটা করে সেসব জায়গায় দেখা যায়নি। শেখানেও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সমানভাবে প্রয়োজন ছিল ক্রাইসিস টাইমে। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তিনি সেসব জায়গায় ভুল করে একবারও যাননি? কেন? সেসব দুর্গত ও দুরবস্থায় থাকা মানুষগুলো কেমন আছে একবারের জন্য জানার চেষ্টা করেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিমানটি তার আগে দিল্লি থেকে আমেদাবাদ এসেছে সেসময়ই নাকি যান্ত্রিক ত্রুটির কথা যাত্রীরা বা পাইলট জানতেন! সেই বিমানটি কীভাবে সম্পূর্ণ ফিট সার্টিফিকেট ছাড়া উড়ে গেল লন্ডনের উদ্দেশ্যে? দুটি ইঞ্জিন একসঙ্গে বিকল হল কীভাবে? এটা স্রেফ অভ্যন্তরীণ ত্রুটি নাকি পাখির ধাক্কায় ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়েছিল? এখনও কোনও সদুত্তর নেই। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মৃত যাত্রীদের পরিবারের জন্য। ডিএনএ মিলিয়ে হতভাগ্যদের দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। কিন্তু দুর্ঘটনার জন্য আসলে কী রয়েছে তা খুঁজতে বিশেষ টিম বলা হলেও উত্তর আসেনি। ডিজিসিএ-র তরফে একটি বিশেষ কমিটি গড়া হলেও সেই কমিটির রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম তথ্য এবং ইঙ্গিত ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফেও বিষয়টি খোলসা করে কিছু বলা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীও এ-বিষয়ে একটি শব্দ খরচ করেননি। তবে ভারতীয় বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর এই ঘটনার স্মৃতি এতটাই দগদগে হয়ে রয়েছে যে দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও ঘোর কাটছে না দেশবাসীর। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই কোনও সঠিক উত্তর নেই কারও কাছেই। কিন্তু কেন?

আরও পড়ুন- ইজরায়েল-ইরান সংঘাতে বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা

Latest article