প্রতিবেদন : গুজরাতের আমেদাবাদে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা (Air India Crash)! বিস্ফোরণে ঝলসে মৃতের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে। কার গাফিলতি? কে দায় নেবে? কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমানমন্ত্রক? নাকি এয়ার ইন্ডিয়া? নাকি টাটা গোষ্ঠী? নাকি বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং? সেটা জানার জন্য উচ্চপর্যায়ের স্বচ্ছ নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হয়েছে।
তবে তার মধ্যে থাকা এআই-১৭১ বিমানের আছড়ে পড়ার রহস্য উদ্ধারে লাগতে পারে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ। কিন্তু সেই রহস্য নিয়ে নানামহলে নানা মত উঠছে। তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়, বিমানের দুটি ইঞ্জিনই একসঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেওয়া। তবে অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমানের দুটি ইঞ্জিন এমন প্রযুক্তিতে কাজ করে যাতে একটি ইঞ্জিন বন্ধ হলে অন্য ইঞ্জিনের সাহায্যে চোখ বন্ধ করে যে কোনওরকম বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। আর দুটি ইঞ্জিনের একসঙ্গে ব্যর্থতার সম্ভাবনা কার্যত লক্ষবারে এক। আর ডবল ইঞ্জিন যদি একসঙ্গে বিকল হয়েও যায়, তাও তা হঠাৎ করে হতে পারে না। উড়ানেই আগেই ইঞ্জিন পরীক্ষায় সেই ত্রুটি ধরা পড়তে বাধ্য। তাই এর মধ্যে কোনও অবহেলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরও আমেদাবাদের মেঘানিনগরে ধ্বংসস্তূপের পাহাড় সরিয়ে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদের ঝলসানো ছিন্নভিন্ন দেহ কিংবা দেহাংশ। পরিচয় জানতে দাঁত, চুল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে শ’য়ে শ’য়ে ডিএনএ পরীক্ষা চলছে। তার মধ্যেই এখনও নিখোঁজ বহু। স্বজনের খোঁজ পেতে মেঘানিনগরের সিভিল হাসপাতালে পরিজনদের আর্তনাদ, হাহাকার অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরও অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রকের উপর মানুষের ক্ষোভ যাচ্ছে না। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Crash) বেসরকারীকরণের পর টাটা গোষ্ঠীর দিকে যাবতীয় অভিযোগের আঙুল উঠলেও কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর তার দায়িত্ব এড়াতে পারে কি?
আরও পড়ুন- বিমান দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর সাফাই কেন্দ্রের মন্ত্রীর! যাত্রীসুরক্ষায় গাফিলতি মানল সরকার?