নকিব উদ্দিন গাজী, কাকদ্বীপ: সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠতেই গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যেতে তৈরি মৎস্যজীবীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ এলাকা থেকে কয়েক হাজার মৎস্যজীবীর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার আগে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। মাছ ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীদের ট্রলার আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন না করে, তা সুনিশ্চিত করতে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে এবার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ট্রলারে থাকবে জিপিএস ট্র্যাকার। যার মাধ্যমে ট্রলারের অবস্থান জানা যাবে। সীমানা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা তৈরি হলে তা আগাম জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ট্রলারে কোনও ক্ষতি হলে তার সতর্কবার্তা এবং গভীর সমুদ্রে মাছের ঝাঁক কোন এলাকায় আছে; তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে মোবাইলে।
আরও পড়ুন-এই অবগাহন-এ ভাসিয়ে নিয়ে যাবেন ব্রাত্য
প্রতিবারের মতন এবারও মাছ ধরতে যাওয়ায় দু’মাসের জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। রবিবার সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। দু’মাসের অপেক্ষার পর গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার ছাড়পত্র পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। শেষমুহূর্তে খাবার-জল, মাছ ধরার উপকরণ-সহ সমস্ত জিনিসপত্র ট্রলারে তোলা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বরফ, জালের দাম কিছুটা হলেও বেড়েছে। সবমিলিয়ে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরা একটি ট্রলার ছাড়তে খরচ হয় প্রায় দু’লক্ষ টাকার উপরে। গত কয়েকবছর ধরে ইলিশ মাছ তেমন মিলছে না। তাই এবছর মৎস্যজীবীরা আশাবাদী, এবার কিছুটা হলেও বেশি পরিমাণে ইলিশ উঠবে জালে। তাই মা গঙ্গাকে স্মরণ করে এবার গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষা।