প্রতিবেদন : আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার আড়াই দিনের মাথায় ফের বিপর্যয় আকাশপথে। রবিবার সকালে কেদারনাথধাম থেকে গৌরীকুণ্ড যাওয়ার পথে উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার (kedarnath Helicopter) ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় সাত যাত্রীর। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দেড় মাসের মধ্যে পাঁচটি কপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উত্তরাখণ্ডে। শুধু খারাপ আবহাওয়ার দোহাই দিলে হবে না, বিজেপি-রাজ্যে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণও দুর্ঘটনার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এদিন অভিশপ্ত কপ্টারে পাইলট-সহ মোট সাতজন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিল এক শিশুও। খারাপ আবহাওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গৌরীকুণ্ডের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পুড়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সাতজনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানান আইজি (আইনশৃঙ্খলা) নীলেশ ভারনে। দুর্ঘটনার পরই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভেঙে পড়া কপ্টারের ছবি ও ভিডিও। উত্তরাখণ্ডের (kedarnath Helicopter) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী কপ্টার দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন। শোকপ্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন-বিজেপি-রাজ্যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, বাংলার শ্রমিকদের বিদেশি বলে পাঠিয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশে
উত্তরাখণ্ডের অসামরিক বিমান পরিবহণ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে বিবৃতিতে জানিয়েছে, রবিবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে গৌরীকুণ্ডের কাছে সাতজনকে নিয়ে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারের যাত্রীরা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের বাসিন্দা। কপ্টারটি কেদার থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে গুপ্তকাশী ফিরছিল। সকাল থেকেই ছিল খারাপ আবহাওয়া। ঘন কুয়াশা। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক অনুমান। এখানে প্রশ্ন ওঠে আবহাওয়া খারাপ থাকা সত্ত্বেও কেন উড়ানের অনুমতি দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে ওই রুটে চারজনের জায়গায় সাতজন যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। তার ফলেই ধ্বংসের মুখে পড়ছে কপ্টার। এর আগে উত্তরাখণ্ডে সাম্প্রতিককালে চারটি কপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ে। ৮ মে গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে উত্তরকাশীর গঙ্গনানিতে ভেঙে পড়ে। ৬ জনের মৃত্যু হয়। ১ জন জখম হন। ১২ মে বদ্রীনাথ থেকে ফেরার পথে হেলিকপ্টার কোনওরকমে উত্থিমঠের স্কুল মাঠে অবতরণ করানো হয়। ১৭ মে কেদারে নামার আগের মুহূর্তে দু টুকরো হয়ে যায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। কোনওমতে রক্ষা পান পাইলট, এক চিকিৎসক ও এক নার্স। ৭ জুন কেদার যাওয়ার পথে যান্ত্রিক গোলযোগ। হাইওয়েতে নামে চপার। রক্ষা চালকসহ ৬ জনের। এরপর এদিনের কপ্টার দুর্ঘটনা। হিউম্যান এরর, যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি খারাপ আবহাওয়ার কারণে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।