আরও একবার প্রমাণিত টালমাটাল যোগী রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। এবার উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) হাসপাতালে ডায়ালিসিস (Dialysis) চলাকালীন হাসপাতালে বিদ্যুৎবিভ্রাট। স্বাভাবিকভাবেই যন্ত্রের মধ্যেই আটকে রইল রোগীর রক্ত। অনেক চেষ্টা করেও যন্ত্র সচল করা গেল না। রীতিমত চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মৃত্যু হল রোগীর। হাসপাতালে বিদ্যুৎবিভ্রাট নতুন কিছু নয়। তবে হাসপাতালে জেনারেটর থাকে যার ফলে বিদ্যুতের সমস্যা হলে জেনারেটর চালিয়ে রোগীদের চিকিৎসার সমস্যা হয় না। কিন্তু এই নির্দিষ্ট হাসপাতালটিতে দীর্ঘ দিন ধরে জেনারেটর নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেখা গেল জেনারেটরে জ্বালানি ছিল না। যে সংস্থার থেকে এই জ্বালানি কেনা হয়, তারা দীর্ঘ দিন হাসপাতালে জ্বালানি সরবরাহ করেনি।
আরও পড়ুন-হারিয়ে যাচ্ছে পহেলগাঁও ইস্যু! অভিষেকের প্রশ্নবাণ তুলে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব
শুক্রবার উত্তর প্রদেশের বিজনৌরের জেলা হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের মাঝখানে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর হয়ে ২৬ বছর বয়সী এক কিডনি রোগীর মৃত্যু হয়। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রাথমিক চিকিৎসা পরিকাঠামোর এই বিস্ময়কর ত্রুটি নিয়ে প্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্যের গোটা স্বাস্থ্য পরিষেবা। সূত্রের খবর, কিডনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল বিজনৌরের ফুলসান্দা গ্রামের বাসিন্দা ২৬ বছরের সরফরাজ় আহমেদকে। এদিন সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা। হাসপাতালে সেদিন সরফরাজ়ের ডায়ালিসিস চলছিল। কিন্তু হঠাৎ হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেনারেটর চালানোর চেষ্টা করা হলেও জেনারেটরে জ্বালানি না থাকায় সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন-”পরিকল্পিত ঘটনা হলে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”, স্পষ্ট জানালেন নগরপাল
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে যুবকের মা জানান হাসপাতালের বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর ডায়ালিসিস যন্ত্রটি বন্ধ হয়ে যায়, তাঁর ছেলের সেই সময়ে বেশ কিছুটা রক্ত যন্ত্রের ভিতরে আটকে ছিল। কাতরভাবে তিনি সকলকে ব্যবস্থা করার আবেদন জানান কিন্তু হাসপাতালের তরফে কেউ সাহায্য করেননি। একটু পরেই মারা যান সরফরাজ। ডায়ালিসিসের সময় খুব বেশি হলে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার রক্ত যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করে। কিন্তু যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যায়। একপ্রকার বিনা চেষ্টায় মারা যান সরফরাজ। এরপরেই হাসপাতালের তরফে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসপাতালের কর্মীরা সরাসরি সঞ্জীবনীকে দোষারোপ করেছেন, যারা ২০২০ সাল থেকে প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে ডায়ালাইসিস ইউনিট পরিচালনা করছে। তারা অভিযোগ করেছেন যে সংস্থাটি বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও ডিজেল সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে এই ভয়াবহ পরিণতি ঘটেছে।