প্রতিবেদন: দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে চক্রান্ত অব্যাহত ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার এবং অনুগত মৌলবাদী শক্তির। মুজিবকন্যাকে ঢাকার আন্তর্জাতিক আদালতে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল বিচারপতি গোলাম মুর্তাজা মজুমদারের ৩ সদস্যের বেঞ্চ। সোমবারই ট্রাইবুনালে বিচার শুরু হল হাসিনার বিরুদ্ধে। তারপরেই এই নির্দেশ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আওয়ামি লিগ। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ এবং সেনার সঙ্গেও সংঘর্ষের খবর আসছে। এদিনই প্রথম শুনানি হল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল এবং পুলিশের প্রাক্তন আইজিপির বিরুদ্ধে। মানবতা বিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে। ২৪ জুন ফের এই মামলার শুনানি। তার আগে ঢাকায় হাসিনার বাড়ি সুধাকর ভবনে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে খবরের কাগজে এ-বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। লক্ষণীয়, অনেক আগেই এই বিচারকে প্রহসন বলে অভিহিত করে হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছেন তিনি এবং তাঁর দল বয়কট করবেন শুনানি প্রক্রিয়া। আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াব্দুল কাদের গোপন ডেরা থেকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুনানি বর্জন করে রাজপথে থাকবে লিগ।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে সোমবার সূর্যাস্তের পরেই পথে নেমে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দিয়েছেন লিগের কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ বেধেছে পুলিশ এবং সেনার সঙ্গে। হাসিনা অনুগামীদের আটকাতে রাস্তায় নেমে পড়েছে বিএনপি-জামাত-এনসিপি। ক্রমশই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে ঢাকা।
আরও পড়ুন-বকেয়া দেড় হাজার কোটি, কেন্দ্রের বঞ্চনায় রাজ্যে হচ্ছে না স্মার্ট ক্লাস