প্রতিবেদন : দেশে ভেঙে পড়ছে বিমান। লাগাতার ট্রেন-দুর্ঘটনায় রেলযাত্রা হয়ে উঠেছে ভয়ানক দুঃস্বপ্ন। কাশ্মীরের জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটে নিরাপত্তায় গলদ, জঙ্গিহানায় মৃত্যু নিরীহ পর্যটকের। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যস্ত বিশ্বভ্রমণে। কানাডায় জি৭ সামিটে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী? তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা পাঁচ প্রশ্নের পরিষ্কার জবাব কি দেবেন নমো? নাকি শুধুই গোঁজামিলে নিজের প্রভুত্ব প্রমাণে ব্যস্ত থাকবেন? তৃণমূলের দাবি, কানাডায় জি৭ সামিটের মঞ্চে আবার গোঁজামিলের সপ্তসূত্র ধরাবেন প্রধানমন্ত্রী। পহেলগাঁও জঙ্গিহামলার পর কেন একটি দেশও সরাসরি পাকিস্তানের নিন্দা করেনি, সেই প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমঞ্চে তুলবেন না। বরং ‘বিশ্বের সমর্থন আমাদের সঙ্গেই রয়েছে, নীরবে’ বলে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের গুডবুকে থাকার চেষ্টা করবেন। আবার বাণিজ্য-চুক্তির টোপ দিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর নামে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কৃতিত্বের দাবি নিয়েও টুঁ শব্দটিও করবেন না প্রধানমন্ত্রী।
কেন ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও আইএমএফ পহেলগাঁও হামলার পরই পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণের অনুমোদন দিল, তা নিয়েও বিশ্বমঞ্চে কোনও কথা বলবেন না মোদি। হয়তো ‘রাষ্ট্রসংঘের পদগুলো শুধু নামকাওয়াস্তে, গুরুত্বহীন’ বলে কোনওমতে গোঁজামিল দেবেন। ‘পহেলগাঁওয়ের মতো নিরাপত্তার গলদ মাঝেমধ্যেই ঘটতে পারে’ বলে নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা করবেন তিনি। পহেলগাঁও হামলায় জড়িত চার জঙ্গি কোথায় গেল, সেই প্রশ্নে আজও মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী। জি৭ সামিটের মঞ্চেও এই প্রশ্নের জবাবে থাকবেন নীরবে, নিভৃতে। কিংবা ‘জঙ্গিরা মৃত বা বেঁচে আছে… বা মাঝামাঝি কোথাও’ বলে গোঁজামিল দিয়ে নির্লজ্জ বিজেপি সরকারের ইমেজ বজায় রাখবেন। পেগাসাসের ব্যবহার নিয়েও গোঁজামিল দেবেন নমো। হয়তো বলবেন, আইবি প্রধানের মেয়াদবৃদ্ধি স্বাভাবিক ব্যাপার! কিংবা ‘পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদেরই, আমরা ফিরিয়ে আনব’ বলে দেশের মানুষকে ললিপপের লোভ দেখাবেন।
তৃণমূলের প্রশ্নবাণে গোঁজামিলের ৭ সূত্র
