আহমদাবাদে (Ahmedabad) সম্প্রতি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। এবার সেই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিমানের উড়ানের পথে যেকোন নির্মাণের উচ্চতা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে কার্যকর করতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। বিল্ডিং বিভাগের তরফে প্রতিটি বরোর ইঞ্জিনিয়ারদের ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমান ওঠানামার পথে বিমানবন্দরের চারপাশে বাড়ি বা কর্মসংস্থানের উচ্চতা নিয়ে পুরসভাকে একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছে এএআই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-কসবায় স্ত্রী, পুত্র নিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ
কালার কোডেড জোনিং ম্যাপের ভিত্তিতে যেকোন অঞ্চলে সর্বাধিক অনুমোদিত নির্মাণের উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়। যদি সেই নির্ধারিত সীমার বেশি উচ্চতার কোনও নির্মাণকাজ করা হয়, তবে এএআইয়ের কাছ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের তরফে খবর, কলকাতা বিমানবন্দরের কাছাকাছি কাশীপুর-দমদম এলাকা এবং বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নিশ্ছিদ্র সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। সংশোধিত বিল্ডিং নিয়ম অনুযায়ী, বিমানবন্দরের খুব কাছে দোতলা বাড়ির জন্যও অনুমোদনের সময় এবার থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-ওড়িশা জুড়ে ভয়াবহ কলেরার দাপট, মৃত্যুমিছিল অব্যাহত
কলকাতা শহরের অন্যান্য জায়গায় বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রেও পুরসভার প্রতিটি বরোর ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। কোনও ধরনের সন্দেহ হলে বা বিভ্রান্তি দেখা দিলে বিষয়টি পুরসভার সদর দফতরের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে যথাযথ পরামর্শ নিতে হবে। বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে পাঁচতলা, ছয়তলা ও সাততলা বাড়ির উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। যদি কোনও ভবনের উচ্চতা নির্দিষ্ট সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে পুরসভার কাছে বিশেষ ছাড়পত্র নিতে হবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করেই সবরকম সিদ্ধান্ত নিতে হবে।