প্রতিবেদন : ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে বাংলার নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশব্যাক যে অবৈধ, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। অমিত শাহের দফতরকে ভুল স্বীকার করে ফেরাতে হচ্ছে তাঁদের। পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তৎপরতায় এখন পর্যন্ত বাংলায় ফেরানো হল সাত পরিযায়ী শ্রমিককে। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির পর্দাফাঁস হতেই মুম্বই পুলিশ ও বিএসএফ-কে ৩ প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছে তৃণমূল। বিজেপি-শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পুশব্যাক করা শ্রমিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। সাতজনকে ফেরানোর পাশাপাশি তারা খোঁজ চালাচ্ছে এরকম আরও পরিযায়ী শ্রমিককে অবৈধ পুশব্যাক করা হয়েছে কি না। মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের পাঁচ শ্রমিককে ফেরানোর পরে নজরে আসে উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদার হরিহরপুরের বাসিন্দা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী ফজের মণ্ডল ও তসলিমা মণ্ডলকেও একই ভাবে বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে। এরপরই বিএসএফকে চাপ দেওয়া হয় এদের ফিরিয়ে আনতে। অবশেষে বিএসএফ ও বিজিবির ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে দু’জনকে উত্তর দিনাজপুরের বিন্দোলের কয়লাডাঙ্গি সীমান্ত দিয়ে ফেরত এনে রায়গঞ্জ থানায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। পুলিশ তাঁদের বাড়ির লোকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। পরিবারের তরফ থেকে এই মর্মে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিযায়ী শ্রমিক বোর্ডেকে।
আরও পড়ুন-বিমানবন্দর সংলগ্ন নির্মাণের উচ্চতা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সতর্ক করল কলকাতা পুরসভা
গোটা ঘটনায় বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামের তিনটি প্রশ্ন ডবল ইঞ্জিন সরকারকে। প্রথমত, কীভাবে মহারাষ্ট্র পুলিশ বাংলার প্রশাসনকে না জানিয়েই এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিএসএফ-র হাতে তুলে দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, এদের জোর করে অন্য দেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়ার আগে বিএসএফ কেন স্থানীয় প্রশাসনের থেকে এদের পরিচয় যাচাই করেনি। তৃতীয়ত, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্দিষ্ট করে হেনস্থা করার জন্য কি এটা বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্র বিজেপিশাসিত রাজ্য ও বিএসএফ-এর?