জাতীয় শিক্ষানীতিতে (National Education Policy) বদলের পর এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বোর্ড পরিবর্তনের জন্য ৭ রাজ্যকে সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক (central government recommends common board for classes 10 and 12 in seven states)। এই তালিকায় রাখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, কেরালা, মণিপুর, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানাকে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে এবার থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে দুটো আলাদা বোর্ডের পরিবর্তে এক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে হয় সেইমতো ভাবনা চিন্তা করতে হবে রাজ্যগুলিকে। জটিলতা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত বলে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা হলেও, আসলে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন-৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার দিনক্ষণ জানাল গিল্ড
স্কুল শিক্ষা সচিব সঞ্জয় কুমার (Sanjay Kumar) জানিয়েছেন অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ফল খারাপ হচ্ছে। অভিন্ন বোর্ড হলে এই সমস্যা এড়ানো যাবে বলে মত তাঁর। এই মুহূর্তে দেশে মোট ৬৬টি বোর্ড রয়েছে। যার মধ্যে ৩টি জাতীয় স্তরের বোর্ড এবং ৬৩টি রাজ্য স্তরের বোর্ড রয়েছে। এই রাজ্যস্তরের বোর্ডগুলির মধ্যে ৩৩টি বোর্ডেই শুধুমাত্র ৯৭ শতাংশ পড়ুয়া রয়েছে। বাকি ৩৩টি বোর্ডে রয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ পড়ুয়া। গতবছর সারা দেশে দশম শ্রেণিতে মোট ২২.১৭ লক্ষ পড়ুয়া ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০.১৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি এক বোর্ড দুই বড় পরীক্ষা পরিচালনা করে তাহলে সেক্ষেত্রে শিক্ষা অধিকর্তাদের ঝক্কি বাড়বে অনেকটাই। পাশাপাশি যেহেতু সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হচ্ছে ফলে প্রশ্নপত্র তৈরি বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সময়ের ঘাটতি হতে পারে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের। তাহলে কি প্রকৃত শিক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশের হার বাড়ানোই কেন্দ্রের লক্ষ্য, নাকি এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষা পদ্ধতির উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চাইছে দেশের সরকার তা নিয়ে সংশয় থাকছে।