সংবাদদাতা, দিঘা : দিঘায় এই প্রথম রথযাত্রা। তাই নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে সমস্তরকম ব্যবস্থা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে দিঘায় পৌঁছলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। শুক্রবার সকাল থেকে সরেজমিনে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় রথে দু’লক্ষ মানুষের আগমনের আশাপ্রকাশ করছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়েও তিনি প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তাই রথের আগেই মাসির বাড়ি-সহ জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করলেন ডিজি। ছিলেন আইজি পশ্চিমাঞ্চল অনুপ জয়সওয়াল, পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভেন্দ্র কুমার, ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) আবু নূর হোসেন প্রমুখ। ডিজি প্রথমে পুলিশ ইনস্পেকশন বাংলোয় রথের নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠক করেন। এরপর পুলিশের কর্তারা সরাসরি জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছান। সেখানে রথ, রথ বেরনোর গেট ঘুরে দেখেন। হেঁটে জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যান মাসির বাড়িতেও। শুক্রবার সকালে মন্দির কমিটির তরফে ফের রথের মহড়া হয়। ৭ নম্বর গেট থেকে ডালা অর্কিড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় তিনটি রথ। মূলত দেখা হয় বাঁকের সময় অসুবিধা হচ্ছে কি না। মন্দির ট্রাস্টের সদস্যরাও বৈঠক করেন। পুরীর মতো দিঘাতেও চৈতন্যদ্বারের সামনে থেকে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-বাংলাকে হতমান, বাঙালির অপমান, একাজ রুখতে লড়ব একসাথে
রথে যাতে কোনওরকম প্লাস্টিক ব্যবহার না হয় সে-বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো শুক্রবার সকালে পুরনো দিঘা-সহ বিভিন্ন এলাকায় দোকানে দোকানে ঘোরেন প্রশাসনের কর্তারা। ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক নীলাঞ্জন মণ্ডল, রামনগর- ১ ব্লকের বিডিও পূজা দেবনাথ প্রমুখ।