কীর্তিমান ডাক্তারের অপরাধের শেষ নেই, রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়ার ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বিছানাতে!

এছাড়া প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকেও রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আগাম ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিস্থিতি ব্যাপক জটিল আকার নেয়। ব্যাপক হইচই শুরু হয়।

Must read

প্রতিবেদন : লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে ঢুকে অভব্য আচরণ করা ডাঃ রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সাফাইয়ে বলেছেন তিনি নাকি শুধু প্রশ্ন করেছেন! আর মিডিয়ার একাংশে তাঁকে এখন প্রতিবাদী ও বিপ্লবী বলে তুলে ধরা হচ্ছে। অথচ এই বিজেপির দালাল হার্মাদ ডাক্তার আসলে যে অপরাধী তাঁর কুকীর্তির একাধিক তথ্যপ্রমাণ ও ঘটনাবলি সামনে আসছে। ফাঁস হচ্ছে তাঁর আসল কাণ্ডকারখানা। বিদেশের একাধিক হাসপাতালে ডাক্তারি করতে গিয়ে গুরুতর সব অপরাধ ঘটিয়েছেন। তাঁর কৃতকর্মের জন্য জীবন সংশয়ের পর্যায়ের সম্মুখীন হয়েছেন একাধিক রোগী। সব থেকে গুরুতর অভিযোগ ছিল, রয়্যাল বটন হসপিটালে কর্মরত অবস্থায় লেবার রুমে এক মহিলাকে তাঁর বাচ্চা জন্মানোর সময় আনাস্থেশিয়া দেওয়ার পর নিজেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে ওই মহিলার জীবন সংশয় হতে হতে বেঁচে যান। ২০০৯ সালেও এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। সেখানে তিনি দু’জন রোগীর দেখভালের দায়িত্বে থাকলেও কর্তব্যে গাফিলতি করায় ওই দুই রোগীর তরফে অভিযোগ করা হয়।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

এছাড়া প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকেও রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আগাম ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিস্থিতি ব্যাপক জটিল আকার নেয়। ব্যাপক হইচই শুরু হয়। এখানেই শেষ নয়, এর আগে ২০০৬ সালে সেন্ট হেলেনের হুইস্টন হাসপাতালেও কাজে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। আরও একটি হাসপাতালে রোগীকে আনাস্থেশিয়া দিয়ে জল খেতে চলে যান। পরে রোগী বমি করে শুরু করলে ফিরে আসেন। এরকম আরও বহু কুকীর্তির নজির এই হার্মাদ ডাক্তার রেখেছেন তাঁর পেশাগত জীবনে। এই মুহূর্তে তিনি ফেয়ারফিল্ড হাসাপাতালে কর্মরত।
ইনি রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলকে না জানিয়ে বিদেশে প্র্যাকটিস করছেন। সঙ্গে আরও নানা তথ্য গোপনেরও অভিযোগ রয়েছে। এহেন কুকীর্তিমান রেজিস্টার্ড অপরাধী এখন নিজেকে প্রতিবাদী সাজাতে ব্যস্ত। আর একে সাপোর্ট দিচ্ছে হার্মাদ-জল্লাদদের মিলিত রাজনৈতিক কুৎসাকারীর দল। এরপরেও বলবেন এই অপরাধী প্রতিবাদী?

Latest article