বেহালা পর্ণশ্রীতে (Parnasree) গণপিটুনির ফলে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এদিনের ঘটনায় জখম আরও এক ব্যক্তি। তিনি আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও জখম ওই ব্যক্তির বয়ানের ভিত্তিতে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-জাতীয় পতাকার পরিবর্তে গেরুয়া পতাকা বসানোর দাবি শিবরাজনের, নিন্দায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস
জানা গিয়েছে, শুক্রবার মাঝরাতে পর্ণশ্রীর এমজি সাহা রোডের ধর্মরাজ তলায় রুটিন পেট্রোলিং চলাকালীন একটি পার্কের পাশে দীপক সিংকে যার বয়স আনুমানিক ৩৩ হবে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। তাঁর থেকে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ৯, এমজি সাহা রোডের সামনে থেকে উদ্ধার হয় মহেন্দর সিং (৫৫)-র নিথর দেহ। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে কোনও রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। চিকিৎসকরা মহেন্দরকে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে দীপককে এসএসকেএমে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশের অনুমান, মহেন্দরকে অন্য কোথাও মারা হয়েছে এবং পরে ওই এলাকায় ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-মুর্শিদাবাদে ট্রেকার ও ডাম্পারের সংঘর্ষে মৃত ৫
দীপক সিং-এর বয়ান অনুযায়ী, সঞ্জীব কর্মকার, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, চন্দন ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে দেখা যায় দীপক এবং মহেন্দর সিং অভিযুক্তদের কাছে জাল সোনার গয়না বিক্রি করেছিলেন। সেই টাকা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতারণা হয়েছে বুঝতে পেরেই অভিযুক্তরা এই দুই ব্যক্তিকে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের নির্মীয়মান একটি ভবনে ডেকে পাঠিয়ে শুরু করে মারধর। বেধড়ক মার খেয়ে মৃত্যু হয় মহেন্দর সিং-এর কিন্তু গুরুতর জখম হন দীপক। এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোনার জিনিসগুলো নকল না আসল সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।