কাল থেকেই ফের শুরু হবে জগন্নাথ-দর্শন, রথের প্রস্তুতি তুঙ্গে, আজ দিঘায় পাঁচ মন্ত্রী

শুরু হবে তাঁকে ভোগ অর্পণ।তার পরই শুক্রবার রথে চড়ে ভাইবোনের সঙ্গে তিনি যাবেন মাসির বাড়ি। দিঘাজুড়ে তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে।

Must read

তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: আয়ুর্বেদিক পাঁচন খেয়ে ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন জগন্নাথ। রবিবার থেকে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে ডালিয়া এবং ফলমূল। স্নানযাত্রার পর তাঁর ১৫ দিনের অনসর পর্ব শেষে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার থেকেই ফের মিলবে জগন্নাথ-দর্শনের সুযোগ। শুরু হবে তাঁকে ভোগ অর্পণ।তার পরই শুক্রবার রথে চড়ে ভাইবোনের সঙ্গে তিনি যাবেন মাসির বাড়ি। দিঘাজুড়ে তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে। আজ, বুধবার দিঘায় পৌঁছবেন মন্ত্রী সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও পুলক রায়। মুখ্যমন্ত্রীর আসার অপেক্ষায় প্রস্তুত দিঘার হেলিপ্যাড। আকাশ পরিষ্কার থাকলে হেলিকপ্টারেই দিঘায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নাহলে সড়কপথেই আসার সম্ভাবনা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার। নিরাপত্তার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-জন্মদিনে জয় অধরা মেসির, জিতল পিএসজি, বিদায় অ্যাটলেটিকোর

শেষ মুহূর্তে যেসব ড্রেনের কাজ চলছিল সেগুলি কোন পর্যায়ে রয়েছে তাও খতিয়ে দেখেন। মঙ্গলবার বিকেলেই পৌঁছে গিয়েছে দমকলের সব ইউনিট। গোটা জাতীয় সড়কে লাগানো হয়েছে জগন্নাথের ছবি দেওয়া নানা ধরনের হোর্ডিং। পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ১০টি আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স। ইতিমধ্যে রাস্তার পাশে বেশ কিছু জলের ক্যাম্প এবং ‘মে আই হেল্প ইউ’ কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল-সহ মোট তিনটি হেলথ ক্যাম্প হচ্ছে। এছাড়াও থাকছে আরও বেশ কয়েকটি মোবাইল ক্যাম্প। এদিকে কাল, বৃহস্পতিবার থেকে ভক্ত ও পর্যটকেরা দেখতে পাবেন প্রভু জগন্নাথকে। ইসকন সূত্রে খবর, রথের জন্য বুধবার দিঘায় পৌঁছাবেন রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ, আমেরিকা থেকে প্রায় ৫০ বিদেশি ভক্ত। তাঁরা হাত লাগাবেন রথের কাজে। এছাড়াও আরও ৫০ জন রথের স্বেচ্ছাসেবক আসছেন ইসকন থেকে।ইতিমধ্যে পুলিশের তরফে মূল পয়েন্টগুলি চিহ্নিত করে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ প্রায় শেষ। ১০০ মিটার অন্তর লাগানো হচ্ছে একটি করে এলইডি। এছাড়াও সাধারণের প্রবেশপথে একাধিক বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে। আজই সড়কপথে দিঘায় পৌঁছে পাঁচ মন্ত্রী সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও পুলক রায় খতিয়ে দেখবেন রথের যাবতীয় প্রস্তুতি। আজ থেকেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দিঘা বাইপাস মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে সমস্ত গাড়ি। সেগুলি নিউ দিঘা দিয়ে প্রবেশ করবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় তিন হাজার পুলিশ আসছে নিরাপত্তার জন্য। সিসি ক্যামেরা ও বাঁশের ব্যারিকেড-সহ থাকছে ড্রোন মারফত নজরদারি।’

Latest article