প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের পরে তাঁদের আকর্ষণীয় সরকারি পদে পুনর্নিয়োগ একটা কদর্য রীতিতে পরিণত করেছে মোদি সরকার৷ বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার স্বার্থে অবিলম্বে এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে৷ হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির অবসরের পাঁচ বছরের মধ্যে তাঁকে কোনও সরকারি পদে নিয়োগ করা যাবে না, কোনওভাবেই তাঁকে সাংসদও করা চলবে না।
আরও পড়ুন-ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সরব দেব, একটাকাও দেয়নি কেন্দ্র
সাফ দাবি জানিয়েছেন ‘পার্সোনাল, পাবলিক গ্রিভেন্সেস, ল অ্যান্ড জাস্টিস’ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায় এবং অরূপ চক্রবর্তী৷ মঙ্গলবার দিল্লিতে আয়োজিত বৈঠকে তৃণমূল সাংসদের এই দাবির মুখে কার্যত মুখে কুলুপ শাসক শিবিরের৷ কোনও কথা বলেননি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় আইন সচিব অঞ্জু রথি রানাও৷ উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর অবসরের পরে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়েছিল৷ একই ভাবে শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ মিশ্রর অবসরের পরে তাঁকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়৷ এই প্রবণতা বন্ধ করার দাবি তুলে মঙ্গলবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বর্ষীয়ান সাংসদ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায় এবং অরূপ চক্রবর্তী৷ তাঁদের সমর্থন করেন অন্যান্য বিরোধী সাংসদরাও৷
দিল্লিতে সংসদীয় সূত্রের দাবি, বিরোধী শিবিরের সাংসদরা এদিন সোচ্চার হয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশোবন্ত বার্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার কাণ্ডে এফআইআর রুজুর ইস্যু নিয়েও৷ কেন এই ঘটনায় বিচারপতি বার্মার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি, প্রশ্ন তোলেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা৷ এই ইস্যুতে সরকারের কাছে জবাব তলব করেন তাঁরা৷ এখানেই না থেমে বিরোধী শিবিরের সাংসদরা দাবি জানান বিচারপতিদের নিরপেক্ষতা এবং বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা
বজায় রাখার উদ্দেশ্যে অবিলম্বে বিচারপতিদের জন্য ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’ তৈরি করা হোক৷ বিচারপতি বার্মার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের সব কর্মরত বিচারপতিদের সম্পত্তির বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করার দাবিও এদিন তুলেছেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা৷