‘নিঃশব্দ বিপ্লব’: ৬৯৫ পৃষ্ঠার পুস্তিকায় উন্নয়নের খতিয়ান অভিষেকের, জবাব বিরোধীদের বিদ্রুপেরও

Must read

প্রতি মাসে ৫০ কোটি মানে প্রতিদিন দেড় কোটি টাকার কাজ। নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করে জানালেন তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার, সাতগাছিয়ার সভা থেকে ৬৯৫ পৃষ্ঠার ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ বই প্রকাশ করেছেন অভিষেক। সেই দুমলাটেই ধরা রয়েছে ১১ বছরের উন্নয়নের ইতিহাস। একই সঙ্গে ডায়মন্ড-হারবার মডেল নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন অভিষেক।

সাংসদ তহবিল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেন অভিষেক। বহু মানুষ উপকৃত হন। বই প্রকাশ করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, “এই বইটি আমার সাংসদীয় কাজের একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ, যেখানে রয়েছে আমার ৫ কোটি টাকার সংসদ তহবিলের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব।“ তাঁর কথায়, প্রথম যখন এই পুস্তিকা প্রকাশ হয়, তখন তার আকার ছিল ৫০ থেকে ৬০ পৃষ্ঠা। কাজের পরিধি বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে বইয়ের পাতার সংখ্যা। এখন সংখ্যা ৬৯৫। অভিষেক বলেন, “প্রথম ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ বইটি ছিল ছোটখাটো, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ এবং বিধায়ক তহবিলের কাজের বাইরে আমার সাংসদীয় তহবিলের কাজ এবং উন্নয়নের প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট বইয়ের মধ্যে জায়গা পেয়েছে।“ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, “আমি যখন ২০১৪ সালে প্রথম প্রচারে ডায়মন্ড হারবারে এসেছিলাম, তখন দেখেছিলাম যে কোথায় কোথায় খামতি আছে। মানুষের সমস্যাগুলো দেখতে পেয়েছিলাম এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি সেই সময় তাঁদের এক কথায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আমি যদি এখানে নির্বাচিত হই, তবে আমি কাজ করব এবং কাজ করে দেখাব।“ অভিষেক জানান, “ফলতা-মথুরাপুর অঞ্চলে ভারতের সবচেয়ে বড় জলপ্রকল্প আমরা শুরু করেছি। এই প্রকল্পটি লাখো মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে।“

আরও পড়ুন- চিকিৎসক দিবস: ১ জুলাই অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা রাজ্যের

বিরোধীদের নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ জানান, “বিজেপি চাইছে যে এসব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাক, তবে আমি জানি, মানুষের জন্য কাজ করাটা সবচেয়ে বড় কাজ।“ এক পর এক কাজের খতিয়ান তুলে অভিষেক বলেন, “আমি একটি চিঠি দেখাব, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, আমি ডায়মন্ড হারবারের ৭৬ হাজার প্রবীণ নাগরিককে শ্রদ্ধার্ঘ প্রদান করেছি। আর সেই সময়েই বিজেপি তাদের ইনকাম ট্যাক্স চিঠি পাঠিয়েছে, যাতে এই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এটা এক ধরনের অশুভ প্রয়াস।“ অভিষেকের কথায়, “এটা আমি কারও পরামর্শ ছাড়া করেছি, কারণ গরিব মানুষের হাতে অর্থ তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি।“

ডায়মন্ড-হারবার মডেল- বারবারই এর উল্লেখ করেন তৃণমূল সাংসদ। এদিন মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “যারা ডায়মন্ড-হারবার মডেল নিয়ে বিদ্রুপ করছেন, তাঁদের উচিত এই বইটি পাঠ করা। কারণ এই বইতে আমার সাংসদ তহবিলের হিসাব রয়েছে, এবং এটি শুধুমাত্র আমার কাজের হিসাব নয়, এটি জনসাধারণের জন্য এক জবাবদিহি হিসাবও।“

এই মঞ্চ থেকেই পরবর্তী ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ কর্মসূচির ঘোষণাও করে দেন অভিষেক। বলেন, “ডায়মন্ড-হারবারের সাতটি বিধানসভা এলাকা রয়েছে। আমি প্রতিটি বিধানসভায় এই কর্মসূচি করি এবং আজ সাতগাছিয়ায় সেটা শুরু করেছি। পরবর্তী ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ কর্মসূচি হবে মহেশতলার বাটানগরের মাঠে।“

Latest article