মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে বিপর্যস্ত সিমলা-মানালি, বন্ধ জাতীয় সড়ক-সহ ১৭১টি রাস্তা

হড়পা বানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সৈঞ্জের জীবানালা, মানালির স্নো গ্যালারি, গাডসার শিলাগড়, মানালির হরনাগড়, ধর্মশালার খনিয়ারা।

Must read

বর্ষার শুরুতেই বিপর্যয় হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে নিমেষের মধ্যেই তছনছ হয়ে গিয়েছে প্রায় গোটা রাজ্য। একাধিক জেলাতেই নেমেছে হড়পা বান, ধস। কাঙ্গরা জেলায় এদিনের হড়পা বানের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন ২০ জন শ্রমিক। উদ্ধার হয়েছে মাত্র দুজন শ্রমিকের মৃতদেহ। বুধবার সারাদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হয় হিমাচল প্রদেশ জুড়ে। কাঙ্গরা জেলার মানুনি খাদের কাছে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী হাইড্রোইলেট্রিক প্রজেক্টের কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ ছিল তাই শ্রমিকরা পাশেই একটি অস্থায়ী ছাউনিতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই খানিয়ারা মানুনি খাদের জলস্তর বেড়ে যায় আর জলের তোড়ে নিমেষে ভেসে যান শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন-দিল্লির সরকারি হাসপাতালে যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলার অবশেষে মৃত্যু

খবর দেওয়া হয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় প্রশাসন, গ্রাম পঞ্চায়েত ও রাজস্ব বিভাগ। তারাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তবে মাত্র ২ জন শ্রমিকেরই দেহ উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, কুলুতেও হড়পা বান নেমেছে এবং সেখানে তিনজনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি, দোকানপাট, রাস্তা ও ছোট ব্রিজ। মানালি ও বাঞ্জার জেলাতেও হড়পা বান এসেছে। একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে মানালি-চণ্ডীগঢ় জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুতলেজ নদীর জলস্তরও ক্রমশ বাড়ছে।

আরও পড়ুন-নীতীশের রাজ্যে নাবালিকাকে হোটেলে নিয়ে চার নাবালকের গণধর্ষণ

প্রসঙ্গত, মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হিমাচলের বেশ কয়েকটি জেলায় অবস্থা বেশ জটিল। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া আশঙ্কা রয়েছে কারণ মৌসম ভবন বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। চম্বা, কাংড়া, মন্ডী, শিমলা এবং সিরমৌর জেলায় হড়পা বানের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ধস এবং বৃষ্টির ফলে ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং রাজ্যের ১৭১টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। বিমান পরিষেবাও ব্যাহত। কুলুর সৈঞ্জ উপত্যকার শানশার, শানগড় এবং সুচাইহানে প্রায় ২০০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। লাহুলেও বেশ কিছু পর্যটক আটকে আছেন বলে খবর।

আরও পড়ুন-বিজেপির দিল্লিতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার নৌবাহিনীর সদর দফতরের কর্মী

উল্লেখ্য, হড়পা বানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সৈঞ্জের জীবানালা, মানালির স্নো গ্যালারি, গাডসার শিলাগড়, মানালির হরনাগড়, ধর্মশালার খনিয়ারা। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন।

 

Latest article