সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : চা-শ্রমিকদের কথা ভাবেনি কেন্দ্র। দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার শ্রমিকেরা। পিএফের টাকা আত্মসাৎ থেকে কেন্দ্রের অধীনস্থ চা-বাগানগুলিতে বেতন বকেয়া। শুধু তাই নয়, না জানিয়ে বাগানে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বন্ধের নোটিশ। এসবের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠলেন শ্রমিকেরা। শুক্রবার বানারহাটে আইএনটিটিইউসির সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের দেওয়া প্রতিটি তথ্য সংসদে তুলে ধরবেন বলে সভাতেই জানিয়ে দিলেন আইএনটিটিইউসির রাজ্যসভাপতি তথা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বানারহাটে এদিনের সভায় ঋতব্রত বলেন, চা-বাগান শ্রমিকদের কথা কেন্দ্র ভাবেনি, বাজেটে তাঁদের নামটুকুও স্থান পায়নি। কিন্তু রাজ্য সরকার চুপ করে বসে নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেন্দ্রের অধীনস্থ চারটি চা-বাগান চুনাভাটি, বানারহাট, কারবালা ও নিউ ডুয়ার্সে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গড়ে তোলা হবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শিশুদের জন্য ক্রেস। এই ঘোষণার পর থেকেই চা-শ্রমিক মহল্লায় খুশির জোয়ার। রাজ্যের এই মানবিক পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাগান এলাকার মানুষজন। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, বহু চা-বাগানে এখনও পিএফ, গ্র্যাচুইটি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা— কোনও কিছুই সুষ্ঠুভাবে পৌঁছায়নি। শিশুদের গাড়ির মধ্যে গাদাগাদি করে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়— এই চিত্র দেখে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন- কলেজে ধর্ষণ : অভিযুক্তদের সরানো হয় আগেই, ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার দুর্বৃত্তরা