দ্রুত ব্যবস্থা প্রশাসনের, বিরোধীদের কথা বলার কোনও অধিকার নেই

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দাগী অপরাধীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : কসবার ঘটনার নিন্দা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। গ্রেফতার করেছে তিন অভিযুক্তকে। কিন্তু এই ঘটনায় বিরোধীদের কোনও কথা বলার অধিকার নেই। এ-প্রসঙ্গে বিজেপি ও সিপিএম নেতাদের কু-কীর্তির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দাগী অপরাধীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ৫০ বছর আগের হিন্দি সিনেমা ‘শোলে’ নতুন করে মুক্তি পেল

শুক্রবার দলের তরফে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমুলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, যত অপরাধ আছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি কুৎসিত অপরাধ হল মহিলাদের উপর যৌন অত্যাচার। নাম-পদবি-জাতি-ধর্ম বড় কথা নয়, পরিষ্কার কথা এদের শাস্তি হওয়া উচিত। অপরাজিতা বিলে এখনও মান্যতা দেয়নি। তাই পুলিশকে অনুরোধ, এখন যে আইন রয়েছে সেই আইনের মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুন। কুণালের সংযোজন, বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের এই বিষয়ে কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। সিপিএম আপনারা কি জানেন, আপনাদের নেতা-মন্ত্রীরা কী ঘটনা ঘটিয়েছেন? যদি বলেন, তৃণমূলের সাথে এই ছেলেটির ছবি আছে বলে তৃণমূল দোষী, তাহলে সুশান্ত ঘোষের যে ভিডিও বেরিয়েছে, সেই অপরাধে বিমান বসুও দোষী। কারণ সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে বিমান বসুর ছবিও রয়েছে। বিজেপির ব্রিজভূষণ সোনার মেয়েদের শ্লীলতাহানি করেছে, তাহলে তার জন্য অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদির দিকে আঙুল তুলতে হয়।

আরও পড়ুন-প্যাকেজের ওপর বাড়তি টাকা, কমিশনের কাঠগড়ায় শহরের বেসরকারি হাসপাতাল

কুণাল বলেন, এই মেয়েটির সঙ্গে যা ঘটেছে, তার সঙ্গে উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলতে হয়নি। একদিনের মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সোনার মেয়েদের দিল্লির রাস্তায় বসতে হয়েছিল। অমিত শাহর পুলিশ মেরে তুলে দিয়েছিল। এরা আজকে বড় বড় কথা বলছে। একইভাবে কার্তিক মহারাজকে গ্রেফতার করা উচিত, কেন তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না, কেন তাকে গ্রেফতার করা হবে না? বিজেপি ধর্ষণে অভিযুক্তদের রক্ষা করে এবং প্রশ্রয় দেয়। তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে কুণাল বলেন, ওড়িশায় গত ১০ দিনে পাঁচটি রেপ কেস হয়েছে। সিপিএমের ডিএনএতে গন্ডগোল আছে। সেই সিপিএম আবার আঙুল তুলছে তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি চায়। কলেজে বা কোন প্রতিষ্ঠানে ছেলেরা যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটায়, তাহলে তাদের কাস্টোডি ট্রায়াল করুন। বেরোতে দেবেন না, সর্বোচ্চ শাস্তি দিন। সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস এই ধরনের অপরাধে ডুবে, তারা তৃণমূলের নিন্দা করবে, মেনে নেব না। তার সমুচিত জবাব দেব। বিজেপির ৭১ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেস রয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কেস রয়েছে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের। এই ধরনের অপরাধে কোনওরকম রাজনীতি আনা উচিত নয়। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে অসভ্যতা করছেন, তাঁরা সামলে যান। সাফ কথা তৃণমূলের।

Latest article