প্রতিবেদন : কসবার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। কলকাতা পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এই নিয়ে ফের নোংরা রাজনীতি করতে শুরু করেছে বিজেপি-সিপিএম (BJP)। কিন্তু কোন মুখে? বিজেপি-শাসিত গুজরাত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্যে ধর্ষকদের মুক্তি পেতে সাহায্য করে বিজেপি সরকার! যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষকরা মুক্তি পেলে মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়! তাহলে বাংলায় কোন মুখে কথা বলে তাঁরা? তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সাফ কথা, ধর্ষকদের কে আশ্রয় দেয়? কে তাদের মুক্ত করে? ভারতীয় জনতা পার্টি! তাই এই বিষয়ে তাঁদের কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই!
আরও পড়ুন-দ্রুত ব্যবস্থা প্রশাসনের, বিরোধীদের কথা বলার কোনও অধিকার নেই
২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ-মামলা ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে খুনের অপরাধে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু ধর্ষকদের একজন ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করে। শীর্ষ আদালত গুজরাতের বিজেপি সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেয়। শেষমেশ গুজরাত সরকারের কাছে সাজা মকুবের আবেদন করেই ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে মুক্তি পায় ১১ ধর্ষক। আর জেল থেকে বেরোলে গলায় মালা পরিয়ে তাদের অভ্যর্থনা জানায় বিজেপি। যদিও শেষপর্যন্ত শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করে গত বছরের জানুয়ারিতে গুজরাতের বিজেপি সরকারের পদক্ষেপ বাতিল করে ধর্ষকদের ফের জেলে পাঠায়।

