প্রতিবেদন : ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দেওয়া নিয়ে ডিগবাজি দিল কেন্দ্র। মোদি মানেই বাংলা বিরোধী! আজ থেকে নয়, বরাবর বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে মোদি সরকার। এদের একমাত্র লক্ষ্য বাংলাকে বঞ্চনা করা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতা করা। কেন্দ্রকে এভাবেই তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। অদ্ভুত ব্যাপার এতগুলো বছর পরে হঠাৎই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে বাংলাকে টাকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী। বিশ্বব্যাঙ্ক বা ওই ধরনের কোনও এজেন্সি থেকে টাকা জোগাড়ের পরামর্শ দেন তিনি। এই ঘটনায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল। ভয়াবহ বন্যার কবল থেকে ঘাটালের মানুষকে মুক্তি দিতে এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রাজ্য সরকার বারবার তদ্বির করেছে কেন্দ্রের কাছে। ঘাটালে তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) সংসদে তাঁর লোকসভার কেন্দ্রের প্রকল্প টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কয়েকবছর আগেই লোকসভায় দেবের প্রশ্নের উত্তরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান খাতে প্রয়োজনীয় টাকা মঞ্জুরের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত একটা টাকাও দেয়নি। উলটে এখন হঠাৎ জানিয়ে দিচ্ছেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান খাতে কেন্দ্র কোনও টাকাই দেবে না বাংলাকে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এই দ্বিচারিতা ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে তৃণমূূল।
আরও পড়ুন-কে বলল জগন্নাথ কেবল পুরীরই, কে বলল দিঘার প্রসাদ মহাপ্রসাদ নয়
দক্ষিণবঙ্গে বন্যার রোধে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দীর্ঘ বছর ধরে কেন্দ্রর উদাসীনতায় এবং আর্থিক জটের কারণে আটকে ছিল। ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প নিঃসন্দেহে আটকে আছে কেন্দ্রের গড়িমসিতেই। ভোটের রাজনীতির কথা ভেবেই মোদির সরকারের এই বিমাতৃসুলভ আচরণ। বিজেপির এই নোংরা রাজনীতির মূল্য গুণছেন চন্দ্রকোনা, দাসপুর, ঘাটাল ও তমলুক নিয়ে মোট ১০টি জায়াগার ২৫ লক্ষ গ্রামবাসী। বর্ষা আসা মানেই সমস্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশঙ্কা বৃদ্ধি। কিন্তু এই অঞ্চলের ৬০-৪০ অনুপাতে প্রকল্পের টাকা জোগানোর কথা কেন্দ্রের। মোদি সরকারের টাকা না দেওয়ার কারণেই নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। এখানেই শেষ নয়, কান্দি, কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদী প্রকল্পের কাজেও ২৬৩ কোটি টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী কেন্দ্রীয় বাজেটে ৪১২ কোটি টাকা বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বরাদ্দ করা হলেও দেওয়া হয়নি এই টাকাও। বন্যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সহায়তার জন্য কয়েক যুগ ধরে আটকে থাকা এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পকে করা হয়নি তালিকাভুক্তও।