নজিরবিহীন! পুরীতে রথের দিন জগন্নাথ বেরতেই পারলেন না মন্দির চত্বর থেকে

মন্দির কর্তৃপক্ষ তরফে খবর অত্যাধিক ভিড়ের ফলে রথ এগোতে পারছিল না। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ রথযাত্রা স্থগিত করে দিতে হয়।

Must read

পুরীর (Puri) রথযাত্রার জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন ভক্তরা। এই দিনে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তবে এবার ঘটল অশুভ ঘটনা। চিল ধ্বজা উড়িয়ে নেওয়ার পর এদিন ঘটে গেল আরও একটি ঘটনা। চলতি বছরে রথের দিন এগোতেই পারল না জগন্নাথের রথের চাকা। মন্দির চত্বরেই সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকল জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ। বলরাম, সুভদ্রার রথ কিছুটা গেলেও নন্দীঘোষ মূল মন্দির থেকেই বেরোতে পারেনি । এত কম দূরত্ব আগে কখনও যায়নি জগন্নাথের রথ।

আরও পড়ুন-রাজপরিবারের পিতলের রথে চড়লেন কুলদেবতা

গতকাল মাসির বাড়ি যেতে না পারায়, আজ শনিবার গুণ্ডিচার উদ্দেশে রওনা দেবে রথ। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রথযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। আজও রাস্তার দুই পাশে পুণ্যার্থীদের ভিড়। তবে গতকাল রথযাত্রা সম্পূর্ণ করতে না পারায় রীতিমত ক্ষুব্ধ জগন্নাথের সেবাইত থেকে শুরু করে ভক্তরা সকলেই। আঙ্গুল তুলছেন প্রশাসনের দিকেই। উঠেছে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ। জানা গিয়েছে এদিন জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে টান পড়তেই, ব্যারিকেডের মধ্যে অসংখ্য লোকজন ঢুকে পড়ে। তাই রথ থামিয়ে দেওয়া হয়। নিয়ম মেনে শুধু কয়েক ইঞ্চি এগোয় জগন্নাথের রথ।

আরও পড়ুন-সাত গোলে লিগ শুরু ইস্টবেঙ্গলের

মন্দির কর্তৃপক্ষ তরফে খবর অত্যাধিক ভিড়ের ফলে রথ এগোতে পারছিল না। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ রথযাত্রা স্থগিত করে দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যাস্তের পর রথ এগোয় না। শুক্রবার বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে সূর্যাস্ত হলেও, বলরাম ও সুভদ্রার রথ কিছুটা এগোনো হয়। কিন্তু কোনমতেই এগোতে পারেনি জগন্নাথের রথ। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে অশনী সঙ্কেত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অন্যদিকে মহাসমারোহে এবার দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হয়েছে রথযাত্রা উৎসব।

Latest article