প্রতিবেদন : কী বলবে বিজেপি? কী বলবে সুকান্ত মজুমদার? কী বলবে গদ্দার অধিকারী? বিজেপি নেতা, বিজেপির সম্পাদক, ওড়িশায় সোনার দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে বমাল গ্রেফতার হল। বাংলার লজ্জা, বাঙালির লজ্জা।
এই কালপ্রিটটির নাম সোমনাথ সাহু। সে মেদিনীপুর জেলার যুব মোর্চার সম্পাদক। রাজ্য দলেরও নেতা। বিগত তিন বছর এই পদ অলঙ্কৃত করে রয়েছে অভিযুক্ত। এই সোমনাথের আসল চরিত্র প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে একটি ভিডিও।
গুণধর ডাকাত বিজেপি নেতা সোমনাথের বাড়ি মেদিনীপুরের হাবিবপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি। স্ত্রী বিজেপির প্রার্থীও হন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে। ওড়িশার জলেশ্বরে স্করপিও গাড়িতে চেপে একটি সোনার দোকানে ঢোকে সোমনাথ। মুখ ঢাকা দেওয়ার জন্য গেরুয়া পাগড়ি পরে দু’দিকে কাপড় ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে। দোকানের কর্মীকে গলার চেন দেখাতে বলে সোমনাথ। কিছুক্ষণ দেখার পর আরও অন্য কিছু দেখাতে বলে। কর্মচারীটি মাথা নিচু করে শোকেস থেকে বের করতে গেলে সুযোগ বুঝে ২০০ গ্রামের বেশি চেন পকেটে পুরে পালাতে চেষ্টা করে সোমনাথ। পাশে বসা দোকানের অন্য এক কর্মী ও যিনি অলঙ্কার দেখাচ্ছিলেন, দু’জনে মিলে স্থানীয়দের নিয়ে ধাওয়া করেন সোমনাথের গাড়ি। জলেশ্বর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মণনাথ রোডে এসে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে আটকে যায়। ধরা পড়ে যায় বিজেপির ডাকাত নেতা। জলেশ্বর পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে, এবং বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন- বিজেপি-রাজ্য মধ্যপ্রদেশে নিখোঁজ ৩৫,০০০ মহিলা
ড্রাগ পাচার, নারী পাচারে এর আগে বিজেপি নেতাদের যুক্ত থাকার ঘটনা ঘটেছে। এবার সোনা পাচার। এলাকায় এক সময় গুণধর সোনার দোকানে কাজ করত। সেই নেতার সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের ছবি দেখা গিয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, যুব মোর্চা রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ছবি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৃণমূলের প্রশ্ন, এবার কী বলবে বিজেপি? এই ছবি কী বলছে? সুকান্ত ও হিরণের সঙ্গে কিসের এত গভীর সম্পর্ক? সোমনাথের সঙ্গে বখরার সম্পর্ক ছিল নাকি? ছবির হৃদ্যতা তো সে কথাই বলছে। বাংলার বিজেপি নেতা পাশের রাজ্যে ডকাতি করতে গিয়ে বমাল গ্রেফতার হয়েছে, এ লজ্জা বাংলার। ২৫ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে পালাচ্ছিল এই বিজেপি নেতা। যারা কথায় কথায় অন্য দলের দিকে আঙুল তোলেন, তাদের জবাব তো দিতে হবে, দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষের। তৃণমূলের অভিযোগ, ধর্ষক ব্রিজভূষণকে পাশে নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ধর্ষকদের মুক্তি দিয়ে মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা দেয় বিজেপি। ধর্ষক সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে পদ্মশ্রী সম্মান দেয় কেন্দ্র। এরা অন্যের সমালোচনা করে কোন সাহসে?
বাংলা বিজেপির সংসারে এবার ধরা পড়ল ডাকাত। মানুষকে জবাব দেবে বিজেপি।