প্রতিবেদন: রাজ্যের ক্রীড়াক্ষেত্রের মানচিত্র বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেড়েছে ক্রীড়া-বাজেট, সেইসঙ্গে একের পর অ্যাকাডেমি তৈরির ফল পাচ্ছে বাংলা। ফুটবলের সব ট্রফি এসেছে। চাকরি দেওয়া হচ্ছে সফল খেলোয়াড়দের। ফলে বাংলার ক্রীড়া জগতে একটা নতুন স্পন্দন তৈরি হয়েছে, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। রবিবার দক্ষিণেশ্বর ইয়ং মেনস অ্যাসোসিয়েশন এবং ভবানীপুর ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে দক্ষিণেশ্বরে নতুন মাঠ ও টুটু বোসের নামাঙ্কিত প্যাভেলিয়ন উদ্বোধনে বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)।
অনুষ্ঠানে ছিলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন সভাপতি স্বপনসাধন বোস, সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ, সচিব সৃঞ্জয় বোস, বিধায়ক মদন মিত্র, পুরপ্রধান গোপাল সাহা, বরানগর পুরসভার সিআইসি অঞ্জন পাল, প্রাক্তন ফুটবলার কার্তিক শেঠ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব নবাব ভট্টচার্য, পুর প্রতিনিধি অয়ন চক্রবর্তী ও ডিওয়াইএমএ-র কর্তা সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টরা। স্বপনসাধন বোসের অ্যাকাডেমির স্বপ্ন সফল করলেন পুত্র সৃঞ্জয়। তাঁর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, শুধু অ্যাকাডেমি গড়লেই হবে না, ভাল কোচ আনতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে হবে ছোটদের। কোচেরাই ছোটদের কাছে খেলার ব্যাকরণ পৌঁছে দেবেন। অরূপ রাজ্যের ৮টি অ্যাকাডেমির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ভবিষ্যৎ দেখতে পারেন। ৮০ থেকে ক্রীড়া বাজেট ৮০০ কোটি হয়েছে। ফলে ক্রীড়াক্ষেত্রে পরপর সাফল্য আসছে। ফুটবলের সব ট্রফি রাজ্যে এসেছে। সন্তোষ ট্রফিও। সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের সব সদস্যকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এখন জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্টে পদক জিতলেই ক্রীড়াবিদদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এটা মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় সম্ভব হয়েছে।
কুণাল বলেন, অয়ন বলেছিল, এখানকার মাঠটির উন্নয়নের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা এমপি ল্যাড থেকে পেলে সুবিধা হয়। এমপি ল্যাড থেকে টাকা দিয়েছিলাম। তারপর আপনারা কাজ করেছেন। এটা আপনাদের কৃতিত্ব। সৃঞ্জয় বলেন, আমরা খুশি কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি। মদন বলেন, আমার জন্মভূমি ভবানীপুর। ক্রীড়াভূমি দক্ষিণেশ্বর। অভিনন্দন জানাই সকলকে।
আরও পড়ুন-সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেশি বিজেপি-শাসিত ৫ রাজ্যে