উত্তর প্রদেশের (UttarPradesh) এক নাবালিকা দলিত (Dalit) মেয়েকে প্রয়াগরাজের তাঁর গ্রাম থেকে কেরালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল এবং জিহাদের প্রশিক্ষণের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ জানানো হয়। ২৮শে জুন গুড্ডি দেবী নামে এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করার পর এই মামলাটি প্রকাশ্যে আসে। তিনি অভিযোগ করেন যে, তাঁর মেয়েকে গ্রাম থেকে কাহকাশন (দারকাশা বানো) নামের স্থানীয় এক মহিলা তুলে নিয়ে যান। তিনি তাঁকেও অর্থের প্রস্তাব দেন এবং উন্নত ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রয়াগরাজ পুলিশ সন্দেহ করছে যে দরিদ্র ও দলিত মেয়েদের লক্ষ্য করে একটি সংঘবদ্ধ নেটওয়ার্ক এই গোটা ঘটনায় জড়িত। তদন্তের জন্য কেরালা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা, মৃত ২ দমকলকর্মী
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ৮ মে রাতে লিলহাটে স্থানীয় রেশন ডিলারের বিয়েতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়। তাঁকে শেষ দেখা যায় রাত ১০টা নাগাদ। অনুষ্ঠানে, ১৯ বছর বয়সী বানো, যিনি ওই একই গ্রামের বাসিন্দা, মেয়েটিকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এবং ইসলামের গুণাবলী সম্পর্কে কথা বলে মন ভোলানোর চেষ্টা করেন। এরপর বানো ফুলপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাইফকে ফোন করেন। তিনি মোটরসাইকেলে করে এসে বানো এবং মেয়েটিকে প্রয়াগরাজ রেলওয়ে জংশনে নিয়ে যান। গঙ্গা নগরের ডিসিপি কুলদীপ সিং গুণওয়াত এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এই সময় কাইফ নাবালিকার শ্লীলতাহানি করেন। প্রয়াগরাজ থেকে, বানো এবং নাবালিকা ট্রেনে দিল্লি এবং তারপর কেরালার ত্রিশুরে যান।যাত্রাপথে বানো তাজ মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তির সাথে বার বার যোগাযোগ করছিলেন।
আরও পড়ুন-রাসায়নিক ট্যাঙ্কার ফেটে মৃত্যু মিছিল তেলঙ্গানায়
মেয়েটির বক্তব্য অনুযায়ী, ত্রিশুর পৌঁছানোর পর, তাঁকে এমন একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে আরও বেশ কয়েকজন নাবালিকা এবং লম্বা দাড়িওয়ালা পুরুষ ছিলেন। তাঁরা তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন এবং জিহাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। মেয়েটি ভয় পেয়ে যায় তবে ভাগ্যক্রমে সুযোগ বুঝে ত্রিশুর রেলস্টেশনে পালিয়ে যেতে পারে। সেখানেই স্থানীয় পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় এবং তাঁর পরিবারকে খবর দেয়। মেয়েটিকে এরপর কেরালার শিশু কল্যাণ কমিটির (সিডব্লিউসি) তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল। ফুলপুর পুলিশের সহায়তায় তাঁর পরিবার তাঁকে প্রয়াগরাজে ফিরিয়ে আনে। তাঁকে জেলার ওয়ান স্টপ সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-কসবার গণধর্ষণকাণ্ডে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা, সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
ডিসিপি গুণওয়াত জানান তাঁর মা গুড্ডি দেবী অভিযোগ দায়ের করার পর ২৮ জুন একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগে, গুড্ডি দেবী জানিয়েছেন যে বানো তাঁকেও হুমকি দিয়েছিলেন। ২৮ জুন, লিলহাট গ্রামের বাসিন্দা গুড্ডি দেবী ফুলপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যেখানে তিনি জানান যে ৮ মে, লিলহাটের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসমাইলের মেয়ে ১৯ বছর বয়সী বানো একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তবে এই মামলায় বানো এবং কাইফ দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।