লজ্জা! লাগামছাড়া ধর্ষণ বিজেপি-রাজ্যেই

বিজেপির মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দিল তৃণমূল

Must read

প্রতিবেদন : আয়নায় নিজেদের মুখটা দেখুন। তারপর বাংলাকে জ্ঞান দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখাবেন। বিজেপির (Shame On BJP) মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দিয়ে মোক্ষম জবাব দিল তৃণমূল। বিজেপি-রাজ্যে লাগামছাড়া ধর্ষণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, বাংলায় নারীরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচে। অপরাধ যদি ঘটে, অপরাধী যে-ই হোক, কেউ রেহাই পায় না। বিচার হয় দ্রুত। কিন্তু নিজেদের রাজ্যের সকরুণ অবস্থার দিকে একবার নজর দিয়ে দেখুন।

আরও পড়ুন-বাংলা বলার অপরাধে দিল্লিতে আটক ৭ জন বাড়ি ফিরছে প্রশাসনের উদ্যোগে

বিজেপির (Shame On BJP) ক্ষোভের মিথ্যে মুখোশটা খুলে দিয়ে তৃণমূল তাদের নোংরা চেহারাটাকে সকলের সামনে এনে দিল। শুধু কথায় নয়, পরিসংখ্যানই বলছে কী নিদারুণ অবস্থা ডবল ইঞ্জিন শাসনে! পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে ৪,৪৫,২৫৬টি। আর প্রতি ঘণ্টায় ৫১টি মামলা রুজু হয়েছে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধসংবলিত। এর মধ্যে বছরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩১,৫১৬টি। অর্থাৎ প্রতিদিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৮৬টি, প্রতি ১৬ মিনিটে ১টি করে। সেখানে দোষীদের সাজা দেওয়ার হার মাত্র ২৭.৪ শতাংশ। তাহলেই ভাবুন, মোদিরাজে কী অবস্থা দেশের! আর তারপর যদি রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যানে নজর দেওয়া যায়, তো কপালে উঠবে চোখ! একেবারেই হতাশাজনক সেই পরিস্থিতি। আসল ধর্ষণরাজ্য কোনগুলি, তা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। লাগামছাড়া ধর্ষণে এগিয়ে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিই। সবার উপরে রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ৫,৩৯৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশে বছরে ধর্ষণের ঘটনা ৩,৬৯০টি, মধ্যপ্রদেশে ৩,০২৯টি, মহারাষ্ট্রে ২,৯০৪টি, হরিয়ানায় ১,৭৮৭টি এবং ওড়িশায় ১,৪৬৪টি। সব ক’টিই ঘটেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে। এই মর্মে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট করে দিয়েছে, এটাই সেই দল, যাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যেই নারীর প্রতি অপরাধে সর্বোচ্চ অভিযুক্তরা রয়েছে। হাথরস থেকে শুরু করে উন্নাও, কাঠুয়া-কাণ্ডে ধর্ষকদের রক্ষা করেছে এই বিজেপি। ধর্ষক-অপরাধীদের ফুলমালা পরিয়ে বরণ করে নিয়েছে। প্রমাণিত, ধর্ষণকে কারা প্রশ্রয় দিয়েছে, কারা অপরাধ বাড়িয়েছে। এরা ধর্ষকের পক্ষে জনজোয়ার তৈরি করেছে, যে কিনা বহু মহিলাকে ধর্ষণ করেছে এবং অশ্লীল ভিডিও রেকর্ড করেছে। বিজেপির ধর্ষক-মিত্রের তালিকায় বেড়েছে রামরহিম ও কার্তিক মহারাজদের মতো নাম। তাই তো ‘অপরাজিতা বিল’, অ্যান্টি-রেপ বিলকে আইনে পরিণত করতে চায় না এরা। যাতে দ্রুত বিচার, দ্রুত তদন্ত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, তার বাস্তবায়ন করতে চায় না। তা হলেই ভাবুন আসল ধর্ষণ-রাজ্য কোনটি আর কারা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে মদত দেয়!

Latest article