প্রতিবেদন : একজন আদ্যোপান্ত ধান্দাবাজ ভণ্ড সাধু! গেরুয়া মুখোশের আড়ালে বিকৃত মানসিকতার লম্পট ‘ধর্ষক’ কার্তিক (Kartik) মহারাজ। নিজের আশ্রমের স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক অসহায় মহিলাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ, ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে গর্ভপাত করানো আর প্রয়োজন মিটে গেলে তাঁকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া— এই হল বিজেপির গেরুয়া ভেকধারী ‘ধর্ষকবন্ধু’ কার্তিক মহারাজের অপরাধের তথ্যচিত্র! কিন্তু সেই ভণ্ড সাধুকে বাঁচাতে বিজেপি এখন ঘটনাটিতে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই বিজেপিই একমাত্র দল, যারা ধর্ষকদের আড়াল করে আর নির্যাতিতাদের উপেক্ষা করে। কসবা-কাণ্ডে দ্রুত জাতীয় মহিলা কমিশন, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ছুটে আসে। কিন্তু ‘বন্ধু’ কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তারা শুনতে পায় না। তাই তৃণমূলের প্রশ্ন, জাতীয় মহিলা কমিশন কি এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝেছে? বিজেপির সঙ্গে অভিযুক্ত জুড়ে থাকলে কি নির্যাতিতার কণ্ঠস্বর মূল্যহীন হয়ে পড়ে? রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়লেই কি নারীর যন্ত্রণা অগ্রাহ্য হয়ে যায়?
আরও পড়ুন- চিৎপুরে বৃদ্ধ দম্পতি খুনে ফাঁসির সাজা
২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিজেপির ধর্ষক-মিত্র কার্তিক মহারাজ এক সভায় বলেছিলেন, নারীরা যখন লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে, তখনই তাদের ধর্ষণ করা হয়! সেই কারণেই কি উনি অসহায় মহিলাকে বারবার ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেল করে গর্ভপাত করিয়েছেন? এটাই কি তাঁর মতে ‘শিক্ষা দেওয়া?’ এক নারীর শরীর ও সম্মানকে পদদলিত করা— বিকৃত নারীবিদ্বেষী এই মানসিকতা কখনওই লুকোনো ছিল না। তাও এই ভণ্ড-লম্পট কার্তিককেই প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়। বিজেপিতে যৌন হেনস্থাকারী হওয়াটাই যেন যোগ্যতার প্রমাণ! কারণ, বিজেপির নৈতিকতা মানে চোরাবালি—ঘন ঘন বদলায়, সবসময় সুবিধাবাদী। বাংলায় কিছু হলে বিজেপি পুরো মেশিনারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজনীতি করতে। কিন্তু যখন তাদের ‘বন্ধুরা’ ধর্ষণের অভিযোগে জড়ায়, তখন হঠাৎ সবাই ভুলে যায় সবকিছু! তাই কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে সারা বাংলা।