প্রতিবেদন : শেষ দিনে প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন ওয়ার্ডে। কোথাও রোড শো, কোথাও বা মহামিছিল। তবে সব থেকে রোড শো করেছেন এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থীদের নিয়ে তিনি বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত। হাজারো হাজারো মানুষের মহামিছিল। তবে এদিন গোটা কলকাতা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ মুহূর্তের ঐতিহাসিক প্রচারকে ঘিরে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে মন্ত্রী এবং মানুষ এই প্রচারে পা মিলিয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতায় রোড শো করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, বিরোধীরা কোথায়! পোস্টার, ব্যানার লাগালে তো বিরোধী দল হওয়া যায় না। সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে হয়। আসলে ফিরহাদ হাকিম বলতে চেয়েছেন পরিযায়ী পাখিদের মতোই এরা হল ভোট পাখি। অর্থাৎ ভোটের সময় এরা ভেসে ওঠেন, আর তারা আত্মগোপন করেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় যেভাবে মোদি, অমিত শাহরা প্রচারে এসে সোনার বাংলা গড়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন, তা মানুষ বুঝতে পেরেছেন তাই বাংলা থেকে বিদায় করেছেন মোদি, অমিত শাহদের। পুরভোটেও কলকে পাবে না বিজেপি-সহ কোনও বিরোধী দল। বাম এবং কংগ্রেস বিধানসভায় শূন্য। বিজেপি নিভু নিভু। কলকাতা পুরভোটে বিজেপিকে কফিনের শেষ পেরেক মারবেন মহানগরীর ভোটাররাই।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশের শরীরচর্চা
৪০ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন মহামিছিল করেন তাপস রায়, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ একাধিক মন্ত্রী ও নেতারা। এই মহামিছিলে প্রার্থীদের দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন ভোটাররা। দক্ষিণ কলকাতায় মদন মিত্রের প্রচার ছিল অভিনব। পালকি চড়ে তিনি প্রচার করেন। হাতে ফুটবল নিয়ে বুঝিয়ে দেন খেলা হবে। যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছেন কলকাতা পুরভোটে কার্যত বিরোধী বলে আর কিছু থাকবে না। এদিন মালা রায় তাঁর নিজের ওয়ার্ড ছাড়াও অন্যত্র প্রচার করেন। উত্তর কলকাতার মেগা প্রার্থী অতীন ঘোষ এবং দক্ষিণ কলকাতার আর-এক মেগা প্রার্থী দেবাশিস কুমার শেষ বেলায় প্রচার করেন। সবাই বলেছেন একটাই কথা— কলকাতার মন একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই। প্রচারের এই সুনামিতে ছিলেন অভিনেতা পরমব্রত, অরূপ চক্রবর্তীর হয়ে তিনি প্রচার করেন। পাশাপাশি এদিন নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশের কমান্ডো বাহিনী রুট মার্চ করে। নিরাপত্তা যথেষ্ট আঁটোসাঁটো।