প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পে ওষুধের বিল নিয়ে আর জিএসটি বিভ্রাট থাকছে না। এবার থেকে রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতাভুক্ত সুবিধাভোগীদের চিকিৎসার খরচ বাবদ জমা দেওয়া ওষুধের বিলে এসজিএসটি ও সিজিএসটি আলাদা করে উল্লেখ থাকতেই হবে— এই বাধ্যবাধকতা তুলে দিল রাজ্য সরকার। অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেল এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে আগের কড়াকড়ি আর থাকছে না।
আরও পড়ুন-ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে এবার আমেরিকার ২০টি রাজ্যে মামলা
আউটডোর চিকিৎসার ক্ষেত্রে এতদিন নিয়ম ছিল, বিল পাস করাতে গেলে তাতে জিএসটির অঙ্ক আলাদাভাবে লেখা থাকতে হবে। কিন্তু বহু ওষুধ বিক্রেতা কম্পোজিট জিএসটি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকায় এই ধরনের বিল দিতে পারতেন না। ফলে সমস্যায় পড়তেন স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে থাকা রোগী বা তাঁদের পরিবার। এই জটিলতা কাটাতেই পদক্ষেপ করল সরকার।
এছাড়া, নথিভুক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোনও সুবিধাভোগীর মৃত্যু হলে, তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ মেটানোর ক্ষেত্রেও আগের নিয়ম শিথিল করে আরও সহজ পদ্ধতির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। সূত্রের খবর, এই নতুন ব্যবস্থা চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরিষেবা সরবরাহে টেন্ডার ডেকেছে সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য প্রকল্পের পরিসর ও নাগালের প্রসার ঘটিয়ে মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্থিক চাপ কমাতেই একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার।