প্রতিবেদন : আজ আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ব্যাগ-মুক্ত দিবস৷ এই উপলক্ষে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে ১ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত পালিত হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি। তারই অঙ্গ হিসেবে সল্টলেকে মঙ্গলবার দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত হল রাজ্যস্তরের এক বিশেষ অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না, সচিব পি উলগানাথন, স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণের মিশন ডিরেক্টর–সহ অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ। এদিন অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা হয় এবং সেখানে সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের পুরনো প্লাস্টিক সামগ্রী দান করেন। পরিবর্তে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের ব্যাগ।
আরও পড়ুন-দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর কাজ পরিদর্শনে স্ট্যান্ডিং কমিটি
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মস্থান, পর্যটন কেন্দ্র, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পঞ্চায়েত ও সরকারি দফতরে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে ৩ জুলাই অর্থাৎ আজ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হবে৷ একইসঙ্গে প্লাস্টিক প্রদানকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে কাপড়ের ব্যাগ৷
বাংলার গ্রামবাসীদের কাছে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আবেদন জানান, ১–৩ জুলাই, গ্রাম পঞ্চয়েতগুলি যেই কর্মসূচি পালন করেছে, তাতে সকলে অংশগ্রহণ করুন এবং নিজেদের বর্জ্য প্লাস্টিক দান করে, পরিবেশবান্ধব কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে ব্যবহার করুন। আসুন গড়ে তুলি প্লাস্টিক ব্যাগ-মুক্ত বাংলা।
রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে মিশন নির্মল বাংলার অধীনে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ বর্তমানে ২৬৮০টি কঠিন বর্জ্য ও ১০৭টি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট চালু রয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৫০ কেজি। ব্যবস্থাপনা ইউনিটের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহৃত যোগ্য করে বাংলার গ্রামীণ এলাকায় ২০০ কিমির উপর রাস্তা নির্মাণ সম্ভব হয়েছে৷ রাজ্য জুড়ে পরিষ্কার করা হয়েছে ১০০টিরও বেশি জলাশয় ও ১৫০টি বর্জ্য নিষ্কাশন স্থান। ৮৪ লক্ষেরও বেশি পরিবার পেয়েছে গৃহশৌচালয় নির্মাণে আর্থিক সহায়তা। রাজ্যে মডেল ভিলেজ হিসেবে ঘোষিত হয়ে মোট ৩২,২৩০টি গ্রাম।