সংবাদদাতা, মহিষাদল : বিধানসভা নির্বাচন কয়েক মাস বাকি। তার আগেই বিজেপির অন্দরে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির দাপুটে শিক্ষক নেতা তথা দুবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী বকুল মুর্মু। বুধবার বিকেলে মহিষাদলে বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী এবং জেলা সভাপতি সুজিত রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারে নিজেকে সামিল করতে চান জানান বকুল। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিজেপির হয়ে বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বকুল মুর্মু। নয়াগ্রাম বিধানসভা থেকে বিজেপির টিকিট পান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন বিদায়ী বিধায়ক তথা তাঁরই ভাগ্নে দুলাল মুর্মু। তবে সেবার হেরে যান বকুল। একুশের নির্বাচনে যখন রাজ্যজুড়ে বিজেপির হাওয়া প্রবল তখন ফের বিজেপির হয়ে একই বিধানসভা থেকে প্রার্থী করা হয় বকুলকে।
আরও পড়ুন-বাজেট খরচে ছাড়, জারি হল নির্দেশিকা
সেবারেও তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপর ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম লোকসভায় বিজেপির গোঁজ প্রার্থী হিসেবে বকুল মুর্মুর মনোনয়ন জমা করা হলেও শেষমেশ মনোনয়ন বাতিল হয়। এরপর থেকেই ক্রমশ বিজেপি থেকে দূরত্ব অবলম্বন করছিলেন বকুল। চুপিসাড়ে জনসংযোগে মন দিয়েছিলেন তিনি। বকুল মুর্মু মহিষাদল রাজ হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পরিবার নিয়ে মহিষাদলেই বসবাস। নয়াগ্রামে বকুলের জনপ্রিয়তা আছে। বুধবার বিকেলে মহিষাদলের কুমুদিনী ডাকুয়া মুক্তমঞ্চে তৃণমূলের তরফে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতিসভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, তমলুক সংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজিতকুমার রায়, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, জেলা পরিষদের দুই সদস্য পূর্ণেন্দু জানা ও সীমা মাইতি, ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুদর্শন মাইতি-সহ অন্যরা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বকুল জানান, মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে তৃণমূলে এলাম। বিজেপিতে থেকে কাজ করা যায় না। তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী জানান, মানুষের হয়ে কাজ করার জন্য তৃণমূলের কোনো বিকল্প নেই। বিজেপি যতই তৃণমূলের হয়ে কুৎসা রটাবে ততই ওদের অন্তরের ভাঙ্গন বাড়বে। ২৬ এর নির্বাচনের আগে আরো অনেকেই তৃণমূলে আসার জন্য অপেক্ষা করছেন। মানুষ ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে। তাই ক্রমশ বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।