প্রতিবেদন: বিপুল অঙ্কের ঋণ-জালিয়াতি। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস-এর ঋণ অ্যাকাউন্টকে জালিয়াতি হিসেবে চিহ্নিত করল। এরপরই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অনুসারে এর প্রাক্তন পরিচালক অনিল আম্বানিকে আরবিআই-এর কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। অন্যান্য ব্যাঙ্ক যারা এই সংস্থাটিকে ঋণ দিয়েছে, তারাও এসবিআইয়ের পথে হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-কোয়াডের বিবৃতি ও ভারতের বার্তায় পাকিস্তানের উল্লেখ না থাকায় বিতর্ক
আরবিআই-এর নির্দেশিকা অনুসারে, একটি ব্যাঙ্ক কোনও অ্যাকাউন্টকে জালিয়াতিমূলক ঘোষণা করার ২১ দিনের মধ্যে তা আরবিআইকে জানাতে বাধ্য এবং পুলিশ বা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে এর বিরুদ্ধে মামলা রিপোর্ট করতে হয়। রিলায়েন্স সংস্থা ইতিমধ্যেই ‘দেউলিয়া ও অসচ্ছলতা কোড ২০১৬’-এর অধীনে কর্পোরেট অসচ্ছলতা সমাধান প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ের অংশ হিসাবে সংস্থাটি জানিয়েছে যে তারা ২৩ জুন এসবিআই থেকে তাদের ঋণ অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত একটি চিঠি পেয়েছে। ফাইলিং অনুসারে, সংস্থাটি এবং এর সহায়ক সংস্থাগুলি অর্থাৎ রিলায়েন্স ইনফ্রাটেল এবং রিলায়েন্স টেলিকম এসবিআই-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে মোট ৩১,৫৮০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। এসবিআই-এর জালিয়াতি শনাক্তকরণ কমিটি রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসকে পাঠানো চিঠিতে বলেছে যে তারা ঋণের অর্থ ব্যবহারে গুরুতর বিচ্যুতি খুঁজে পেয়েছে। ঋণচুক্তির শর্তাবলি মানা হয়নি এবং আরসিএল-এর অ্যাকাউন্টে যে অনিয়ম দেখা গেছে, তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। জালিয়াতি শনাক্তকরণ কমিটির তথ্য অনুযায়ী, রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস কর্তৃক প্রাপ্ত মোট ঋণের ১৩,৬৬৭ কোটি টাকা বা ৪৪% অন্যান্য ঋণ ও বাধ্যবাধকতা পরিশোধে ব্যবহৃত হয়েছে। অতিরিক্ত ১২,৬৯২ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে পরিশোধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। ফাইলিং অনুযায়ী, ৬,২৬৫.৮৫ কোটি টাকা অন্যান্য ব্যাঙ্ক ঋণ পরিশোধে এবং ৫,৫০১.৫৬ কোটি টাকা সম্পর্কিত বা সংযুক্ত পক্ষগুলিকে পরিশোধে ব্যবহৃত হয়েছিল, যা ব্যাঙ্কের ঋণদান নির্দেশিকার পরিপন্থী ছিল।