প্রতিবেদন : কলকাতা শহরে এবার গাছেদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করবে কলকাতা পুরসভা। শহরের বিভিন্ন উদ্যান ও রাস্তাঘাটে যত গাছ আছে, সেইসমস্ত ছোট-বড় গাছের শক্তির পরীক্ষা নেওয়া হবে। বিভিন্ন বরোর সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ করবে পুরসভার উদ্যান বিভাগ। শুক্রবার কলকাতা পুরভবনে এই ট্রি অডিটের কথা ঘোষণা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মহানাগরিকের কথায়, শহরের যত গাছ আছে, তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে বরো এবং উদ্যান বিভাগ। আপাতত কলকাতা পুরসভা এটা শুরু করছে। এরপর কেএমডিএ-কেও বলব, রবীন্দ্র সরোবর-সুভাষ সরোবরের মতো জায়গাগুলিতেও গাছ ধরে ধরে পরীক্ষা করা হবে। একইসঙ্গে গাছেদের ট্রিমিংও করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
আরও পড়ুন-বিধ্বংসী সিরাজ, জয়ের খোঁজে ভারত
বুধবার হাওড়া পুরপ্রশাসকের ভবনের সামনে গাছ চাপা মৃত্যু হয় দুই পুরকর্মীর। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে হাওড়া পুরসভায় যান কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানান, ঝড়-বৃষ্টি কিছুই ছিল না। তা সত্ত্বেও গাছটি ভেঙে পড়েছে। এটা ‘ব্যাড লাক’ ছাড়া কিছু নয়। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের ২ লক্ষ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। মৃত দুই কর্মীর একজনের ছেলে এবং অন্যজনের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথাও বলেন পুরমন্ত্রী। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার কলকাতা শহরেরও সমস্ত গাছের অডিট করবে পুরসভা।
পুরসূত্রে খবর, বড় গাছগুলি আপাতদৃষ্টিতে সজীব মনে হলেও গাছের গুঁড়ি কীটপতঙ্গ কিংবা পচনের কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই এবার শহরের সমস্ত গাছের সমীক্ষা করতে চায় পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমও জানিয়েছেন, হাওড়া পুরসভার মতো গাছ ভেঙে পড়ে যাতে আর প্রাণহানি না হয়, তার জন্যই এই অডিট। একইসঙ্গে মহানাগরিক বলেন, অডিটের পাশাপাশি গাছের ট্রিমিং করা হবে। কলকাতা শহরে অনেক ট্যারা-বাঁকা গাছ রয়েছে। সেগুলোকে ছেঁটে সুন্দর করে রাখা হবে। বিদেশের শহরগুলো পারলে আমরা পারব না কেন! আর ট্রিমিংয়ের পর কোনও গাছের উচ্চতা ১০-১২ ফুটের বেশি না হয়।