সিরাজউদ্দৌলার সমাধিতে ফুল দিতে গেলেন না ছোটে নবাব

এবছর ২ জুলাই মহরম মাস চলায় সেখানে যাইনি। এটা শোকের মাস। ধর্মীয় রীতি পালনের জন্য এবছর আমার পক্ষে আর খোশবাগে যাওয়া হয়নি।

Must read

কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: ইসলামিক ক্যালেন্ডার মতে জুন মাসের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে শোকের মাস আল মহরম। পবিত্র এই মাসে কোনও আনন্দ বা উৎসবে অংশগ্রহণ করা যায় না। তাই এবছর বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যুদিনে তাঁর সমাধিস্থল খোশবাগে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারলেন না নবাব মিরজাফরের পঞ্চদশ বংশধর সৈয়দ রেজা আলি মির্জা, যাঁকে মুর্শিদাবাদবাসী ছোটে নবাব বলেই বেশি চেনেন।

আরও পড়ুন-ভোটের লোভে ভণ্ডামি বরদাস্ত করবে না বাংলা, ধর্ম নিয়ে ছেলেখেলা বিজেপির

আলিবর্দি খানের পর মাত্র ২৩ বছর বয়সে ১৭৫৬ সালে বাংলার সিংহাসনে বসেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। সেনাপতি মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় ২৩ জুন ১৭৫৭-য় পলাশির যুদ্ধে হেরে যান। সিরাজ গোপনে নৌকায় পালানোর সময় মিরজাফরের সৈন্যরা ধরে ফেলে। ৫৭ সালে ২ জুলাই মিরনের নির্দেশে লালবাগ শহরের নিমকহারাম দেউড়ির কাছে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ভাগীরথীর তীরে খোশবাগে সিরাজের সমাধি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করেছে। সেখানে সিরাজের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য এবং প্রিয় কয়েকটি পশুপাখিও সমাধিস্থ রয়েছে। মিরজাফরের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা বহন করতে রাজি নন রেজা আলি। বলেন, বাংলার নবাব হিসেবে সিরাজউদ্দৌলা আমারও পূর্বপুরুষ। আমার বাড়িতে অন্যদের সঙ্গে সিরাজের ছবিও রয়েছে। প্রতিবছর আমি ওঁর মৃত্যুদিনে খোশবাগে গিয়ে সমাধিতে ফুল দিই। এবছর ২ জুলাই মহরম মাস চলায় সেখানে যাইনি। এটা শোকের মাস। ধর্মীয় রীতি পালনের জন্য এবছর আমার পক্ষে আর খোশবাগে যাওয়া হয়নি।

Latest article