ড্রাগন চাষে চমক নন্দীগ্রামের শুভেন্দুর

সেই লক্ষ্যেই প্রথমে ১২টি ড্রাগন ফলের চারা জমিতে বসিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু শুভেন্দুর। এর পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে চারার সংখ্যা।

Must read

প্রতিবেদন : নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগরের অধিকারীপাড়ার বাসিন্দা তরুণ ফলচাষি শুভেন্দু দাস অধিকারী ড্রাগন ফলের চাষ করে যেমন একদিকে নিজে লক্ষ্মীলাভ করেছেন, তেমনই বিভিন্ন রকমের ড্রাগন ফল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষাও করছেন। গণিতের ছাত্র শুভেন্দুর ছোট থেকেই চাষবাসের উপর ছিল প্রচুর আগ্রহ। তাঁর বাড়ির পরিস্থিতিও খুব একটা ভাল ছিল না। তাই নিজের খরচ নিজেকেই চালাতে হত।

আরও পড়ুন-বিমানের ভিতরেই সহযাত্রীকে পিটিয়ে গ্রেফতার ভারতীয়

সেই লক্ষ্যেই প্রথমে ১২টি ড্রাগন ফলের চারা জমিতে বসিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু শুভেন্দুর। এর পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে চারার সংখ্যা। এক সময় ২০ হাজার টাকা ধার করে বাড়ির সামনে পাঁচ কাঠা জায়গায় চাষ শুরু করেন ২৭ বছরের তরুণ শুভেন্দু। বর্তমানে সেখানেই রমরমিয়ে চলছে ড্রাগন ফলের চাষ। শুভেন্দুর বাগানে বর্তমানে ৬ রকমের প্রায় ১ হাজার চারাগাছ রয়েছে। এপ্রিল থেকে নভেম্বর এই সাত মাস ড্রাগন ফলের ফলন হয়। এক মরশুমে তা থেকেই ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। পশ্চিম বাংলার যে কোনও বাজারে পুষ্টিকর ড্রাগন ফলের দাম কম করে ২৫০ টাকা কেজি। তবে এর পাইকারি দাম ১৬০ টাকা কেজি। শুভেন্দুর কথায়, যাঁরা পড়াশোনা করেও উপযুক্ত কাজ পান না তাঁরা এই ফলের চাষে ভরসা করে এগোতে পারেন। তাতে ভবিষ্যতে মাসে মোটা টাকা উপার্জন করা সম্ভব৷

Latest article