২৪-ই মাপকাঠি, ফের বলল তৃণমূল

নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে অপব্যবহার করছে বিজেপি। মোদি-জমানায় গণতন্ত্রকে খেলনার মতো ব্যবহার করছে তারা।

Must read

প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে অপব্যবহার করছে বিজেপি। মোদি-জমানায় গণতন্ত্রকে খেলনার মতো ব্যবহার করছে তারা। স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিকে করায়ত্ত করার অভিসন্ধি শুরু করেছে। বিহার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর নামে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র রচনা করেছে তারা। তৃণমূল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্র ও বিজেপির এই ফন্দি আমরা কোনওমতে রেয়াত করব না। বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর বেস ইয়ার হিসেবে ২০০৩ নয়, ২০২৪ সালকে বিবেচনা করতে হবে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় তৃণমূল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আমরা বিহারে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথার্থই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এনআরসির মতো এই উদ্যোগ আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে বিপন্ন করছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার আশঙ্কা তৈরি করছে। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই প্রক্রিয়ার ওপর অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কেন্দ্রের মোদি সরকারের আমলে দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে গণতন্ত্রকে পেছনে ঠেলতে তারা নানা ফন্দি-ফিকির এঁটে চলেছে। এর বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চলবে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। গোপনে ভোটারদের নাম বাদের চক্রান্ত আমরা রুখবই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কোনও ইস্যু তুলে ধরেন, তিনি শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে লড়াই করে যান। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, আমরা সংসদের বাইরে এবং সংসদের ভেতরেও আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই লড়াইয়ে বিরোধীরা সবাই এককাট্টা। গোটা ইন্ডিয়া একজোট।

Latest article