”ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টের চাকরিটা সিপিএম আমলে কার সুপারিশে পেয়েছিলেন”, দেবাংশুর নিশানায় কে?

প্রসঙ্গত, সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় তাঁর এক বক্তব্যে এমন কিছু অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছেন, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল

Must read

তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রথম থেকেই অভিযোগ করেছিল সিপিএম আমলে চিরকুটে চাকরি হয়েছে। দলের হোলটাইমারদের স্বামী অথবা স্ত্রী সরকারি পাকা চাকরি পেয়েছেন। শুধু অভিযোগ নয়, অকাট্য প্রমান তুলে ধরে সিপিএমের চাকরি কেলেঙ্কারির নমুনা প্রকাশ্যে এনে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকবার। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি পাওয়ার সমস্ত তথ্য ধরে জানতে চেয়েছিলেন কীভাবে চাকরি হল? কোন পরীক্ষায় চাকরি হল? কোথায় তালিকা বেরিয়েছিল? কোন যোগ্যতায় ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়েছিলেন? প্রশ্নের উত্তর আসেনি সুজন বা সিপিএম এর তরফে।

আরও পড়ুন-ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রীর

তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, সুজনের চাকরি থেকে শুভেন্দুদের সুপারিশ সবকিছু এজেন্সির তদন্তের আওতায় আসুক। উপন্যাস পড়া হবে পঞ্চম অধ্যায় থেকে, তা তো হতে পারে না। হলে শুরু হোক মলাট থেকে। এবার সেই বিতর্ক আরও একবার উস্কে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন। লিখলেন, ”সিপিএমের খিস্তিবাজ নেত্রী ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টের চাকরিটা সিপিএম আমলে কার সুপারিশে পেয়েছিলেন?”

আরও পড়ুন-রক্তারক্তি বেহালার সখেরবাজার, মৃত যুবক, গ্রেফতার অভিযুক্ত বন্ধু ও তাঁর বাবা

প্রসঙ্গত, সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় তাঁর এক বক্তব্যে এমন কিছু অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছেন, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বিরোধী দলের নেতাদের উদ্দেশে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে মীনাক্ষীর এমন ভাষা কি হঠাৎ করে শুরু হল, নাকি এটি আসলে সিপিএমের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ? ইতিহাস ঘাটলে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে এই ধরণের ‘কুকথা’ বা ‘অপমানজনক ভাষা’ সিপিএমের বহু পুরনো অভ্যেস।

Latest article