অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : কয়লাখনি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অপার কৌতূহল। আর খনি-অঞ্চলের আশপাশেও রয়েছে বহু দর্শনীয় জায়গা। এই সব মিলিয়েই আসানসোল খনিশিল্পাঞ্চলে এক অভিনব পর্যটনের আয়োজন করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ও ইসিএল-এর যৌথ উদ্যোগে। এটা চালু হলে পর্যটনেও আসবে বৈচিত্র, ঘটবে উন্নয়ন।
আরও পড়ুন-বিশ্ববীণা রবে বিশ্বজন মোহিছে
এই প্রথম ইকো মাইনস ট্যুরিজম চালু হতে চলেছে এই অঞ্চলে। প্রাকৃতিক দিক থেকে বৈচিত্রময় এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। আর ভূগর্ভস্থ কয়লাখনি তো রয়েইছে। এই দুইয়ের মিলন ঘটাতেই এই ধরনের এক অভিনব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল জানান, মাইথন জলাধার, কল্যাণেশ্বরী মন্দির, কালীপাহাড়ির ঘাঘরবুড়ি মন্দির, আসানসোলের মরিচকোঠার চন্দ্রচূড় শিবমন্দির ও সামডির দেবী মুক্তাইচণ্ডী মন্দিরকে বেষ্টন করে একটি অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম জোন তৈরির উদ্যোগ চলছে।
আরও পড়ুন-গণিতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বাংলার নীনা গুপ্ত
এতে প্রদর্শনী গ্যালারি ও হেরিটেজ পার্ক গড়ে তোলা হবে। ইসিএল-এর ধেমোমেন কোলিয়ারিকে কেন্দ্র করে এই ট্যুরিজিম হাবটি গড়ে উঠলে, তা জেলার অর্থনৈতিক মানচিত্রকে অনেকখানিই সমৃদ্ধ করবে বলে জেলা প্রশাসনের আশা। উল্লেখ্য, মাইথন জলাধার ও কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে বিশেষত শীতের মরশুমে অসংখ্য পর্যটক প্রতি বছরই ভিড় জমান। কালীপাহাড়ির দেবী ঘাঘরবুড়ি মন্দিরেও অসংখ্য মানুষ আসেন। এতদিন এই এলাকাকে ঘিরে কোনও প্যাকেজ ট্যুর না থাকায় এলাকাটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গণ্য হত না। এবার সেটাই হতে চলেছে।