গঙ্গা-দূষণ রোধে বিজেপির রাজ্যগুলিকে হারাল বাংলা

শুধু মুখেই বড় বড় কথা, কাজের বেলায় লবডঙ্কা! গঙ্গাদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিজেপি-শাসিত যোগীরাজ্য-সহ তিন ডবল ইঞ্জিন রাজ্য ডাহা ফেল।

Must read

প্রতিবেদন : শুধু মুখেই বড় বড় কথা, কাজের বেলায় লবডঙ্কা! গঙ্গাদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিজেপি-শাসিত যোগীরাজ্য-সহ তিন ডবল ইঞ্জিন রাজ্য ডাহা ফেল। কিন্তু নজির গড়ল বাংলা। প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রও। মোদি সরকারের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টেই বিষয়টি সামনে এসেছে। রিপোর্ট বলছে, বিজেপি-শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরাখণ্ডে ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি) প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থে তৈরি অধিকাংশ সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টে (এসটিপি) তরল বর্জ্য পরিশোধনের পরও ‘বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড’ বা বিওডি যথাযথ থাকছে না। গাফিলতি ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই পরিস্থিতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৫ জুন পঞ্চদশ এম্পাওয়ারড টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তারা ছিলেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার আধিকারিকরাও। সেখানেই গঙ্গাদূষণ রোধে বাংলার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তিন বিজেপি রাজ্যকে।

আরও পড়ুন-বিজেপির অসমে হিন্দু-বিতাড়ন, ২১৮টি পরিবারকে উচ্ছেদ একদিনেই

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিওডি বেশি থাকার অর্থ সেই জলে বেশি মাত্রায় পচনশীল ও জৈব বস্তু মিশে রয়েছে। যে জলের বিওডি যত বেশি, সেই জল তত বেশি দূষিত। এদিকে, পরিবেশ মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, মেট্রো শহরগুলিতে বিওডি ২০ এবং নন-মেট্রো এলাকায় ৩০-এর নিচে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু উত্তরাখণ্ডে ৫০টি এসটিপির মধ্যে ১৭টি এই মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ৩৬টির মধ্যে এমন এসটিপির সংখ্যা সাত। এবং বিহারে ১০টির মধ্যে একটি এসটিপি ব্যর্থ। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৫৪টি এসটিপি-র মধ্যে সব ক’টিই পরিবেশ মন্ত্রকের মানদণ্ড বজায় রাখতে পেরেছে। অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধনের পরেই তরল বর্জ্য মিশছে গঙ্গায়

Latest article