বিহারে (Bihar) ভোটার তালিকা সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। অবিলম্বে ওই নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। একইরকম নির্দেশ যাতে বাংলা বা অন্য কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রে না দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করা হয়। এই নিয়মের বিরোধিতা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। শনিবার মামলা করেছে ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’। অন্য কোনও রাজ্যে যাতে এই ধরণের নির্দেশ না দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করতেও আর্জি জানিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। মহুয়া আদালতে মামলার এই নথি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের এসআইআর-এর নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে এইমাত্র সুপ্রিম কোর্টে একটা মামলা করলাম। বাংলা-সহ অন্যান্য রাজ্যে যাতে এই পদক্ষেপ না করা হয়, তার জন্য স্থগিতাদেশও চেয়েছি।’’
আরও পড়ুন-দুনিয়া ঘুরছেন আর গপ্পো শোনাচ্ছেন! কালো টাকা ফিরল কই?
অবশেষে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন(SIR)এর বিরুদ্ধে করা মহুয়া মৈত্রর WRIT পিটিশন গ্রাহ্য করেছে আদালত। সোমবার নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মহুয়া মৈত্র জানান, ”আজ মাননীয় সর্বোচ্চ আদালত ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন(SIR)এর বিরুদ্ধে করা আমার WRIT পিটিশন কে গ্রাহ্য করেছেন এবং ভারতীয় নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ জারি করেছে ।এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেখানে ভোটার তালিকা সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নিয়মে বলা হয়েছে, ভোটার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য আধার কার্ড বা রেশন কার্ড দেখালে চলবে না। দেখাতে হবে জন্মের প্রমাণপত্র। যদি কেউ সেই প্রমাণপত্র না দেখাতে পারেন, তাহলে নাম বাদ যাবে ভোটার তালিকা থেকে। এরপরেই মহুয়া মৈত্রর দাবি ছিল ২০২৬ সালে বাংলায় নির্বাচন। কীভাবে বিজেপি-কে সাহায্য় করে, বাংলার ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যায়, এটাই নির্বাচন কমিশনের মূল উদ্দেশ্য। যে ১১টি প্রমাণপত্র চাওয়া হয়েছে, সেটাতে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড নেই। প্রমাণপত্রের মাধ্যমে জন্মের স্থান প্রমাণ করতে হবে। জন্মের শংসাপত্র ছাড়া আরও কোথাও জন্মের স্থানের উল্লেখ থাকে না। অন্যদিকে ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের মা-বাবার প্রমাণপত্রও দিতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোটাধিকার বাতিলের চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মহুয়া।